শুধু আর্জেন্টিনা নয় ব্রাজিলেও আছে মেসি। লিওনেল মেসি খেলছেন এস্তাদিও মনিউমেন্তালে জোড়া গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়েও জয় এনে দিয়েছে। তবে এস্তাদিও দে মারাকানাতেও তো এক ‘মেসি’ আছেন! তিনিও গোল করেছেন, ব্রাজিলকে এনে দিয়েছেন প্রথম গোল। কাকতালীয়ভাবে ব্রাজিলের ‘মেসি’ও গোল করলেন আর্জেন্টিনার লিওনেলের মতো ম্যাচের ৩৯ মিনিটেই। তার একমাত্র গোলে চিলির বিপক্ষে ব্রাজিল প্রথমার্ধ শেষ করেছে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে। চিলির বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩–০ গোলের দাপুটে এক জয়ই পেয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
নাম তার এস্তেভাও উইলিয়ান। তবে ব্রাজিলে তার পরিচিতি মেসিনিও, মানে ছোট মেসি নামে। তিনি নিজেও মেসির বিরাট ভক্ত, একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি সেটা পরিষ্কার জানিয়েও দিয়েছেন। সবশেষ ক্লাব বিশ্বকাপে পালেমেইরাসের হয়ে খেলছিলেন যখন, মেসির মিয়ামির বিপক্ষে খেলেছেন, ম্যাচ শেষেই ছুটে গিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির কাছে।
মেসির মতো জাতীয় দলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে শুরু করেছেন ছোট মেসি এস্তেভাও। আজ তার গোলেই তো ব্রাজিল ভেঙে ফেলল ম্যাচের সমতা। চিলির বিপক্ষে নিজেদের মাঠে এই ম্যাচে সেলেসাওরা অবশ্য আরও একবার বল জালে জড়িয়েছিল। ম্যাচের ৪ মিনিটে কাসেমিরো বল জালে জড়িয়েও গোলের দেখা পাননি অফসাইডের কাটায়। তবে ৩৯ মিনিটে এস্তেভাওয়ের গোল ব্রাজিলকে শেষমেশ এগিয়ে দেয়।
৪৫ মিনিটে চিলির গিয়ের্মো মারিপানকে রেফারি লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছিলেন রীতিমতো। তবে ভিএআর যাচাইয়ের পর সেটা হলুদ কার্ডে বদলে যায়। এরপর অবশ্য গুরুতর এক ফাউলের জন্য কাসেমিরোকে হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে।
এই ম্যাচের স্কোয়াডে নেইমার নেই। ভিনিসিয়ুস রদ্রিগোদের নিয়েও মাঠে নামেনি সেলেসাওরা। তবে ব্রাজিলের দায়িত্বটা যেন নিজের কাঁধে তুলে নিলেন ‘মেসি’ এস্তেভাও। তার ওই গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করেছে কোচ কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। দ্বিতীর্ধে ব্রাজিলের জয়ের জন্য গোল করেছেন , লুকাস পাকেতা এবং ব্রুনো গিমারেস।