ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হিরো আলমের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা Logo ইসলামী ব্যাংকের ২০০ কর্মী ছাঁটাই, ৪৯৭১ জন ওএসডি Logo দ্বিতীয় দফায় ১২ দিনের কর্মসূচিতে যাচ্ছে জামায়াতসহ সাত দল Logo আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ক্রিস ওকস Logo সাকিবের সম্পদের অনুসন্ধানে দুদকের নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ Logo সাভারে দুর্গাপূজা: সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী Logo নুরুল হক নুরের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান Logo নিখোঁজ দুই বোনের অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিওবার্তা, দিলেন ‘ধর্মান্তরিতের’ বার্তা Logo ‘জুলাই আন্দোলন দমনে ৩ লাখ ৫ হাজার রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল’ Logo তা’মীরুল মিল্লাত থেকে আগামী দিনে ওমরের উত্তরসূরী বের হবে: জাহিদুল ইসলাম

বাংলা গানে অভিষেক রাহাত ফাতেহ আলী খানের

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৪:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 106

বিশ্বখ্যাত পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খান। হৃদয়স্পর্শী কণ্ঠের জন্য বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। প্রথমবারের মত বাংলা গানে কণ্ঠ দিয়ে বাংলাদেশের সংগীতপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছেন। এই অপ্রত্যাশিত চমক দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী রুবাইয়াত জাহানের সঙ্গে জুটি বেঁধে রাহাত ফতেহ আলী খান গেয়েছেন ‘তুমি আমার প্রেম পিয়াসা’ শিরোনামের একটি দ্বৈত গান। এর সুর ও সংগীত করেছেন পাকিস্তানের বিখ্যাত সংগীত পরিচালক রাজা কাশেফ। মূলত তারই অনুপ্রেরণায় এই চ্যালেঞ্জিং কাজটি হাতে নেন রাহাত।

গানটি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শ্রোতারা রাহাতের উচ্চারণশুদ্ধি এবং গানে তার আবেগ প্রকাশের গভীরতায় মুগ্ধ। বিশেষ করে গানের একটি লাইন, ‘এলে তুমি মনের গভীরে, জানবে তোমার আমি কে’, ভক্তদের মাঝে দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, রাহাতকে দেখে মনেই হচ্ছিল না তিনি একজন বিদেশি শিল্পী; বরং একজন দক্ষ বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পীর মতোই শোনাচ্ছিল তাকে।

পাকিন্তানি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সংগীত পরিচালক রাজা কাশেফ বলেন, ‘আশা ভোঁসলে এবং আদনান সামির মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে, কিন্তু রাহাতের এই পরিবেশনা সত্যিই অসাধারণ এক ছাপ রেখে গেছে। তার মূল্যবান গায়কী আমার এবং পৃথিবীর সব সংগীতপ্রেমীর ওপর এক অসাধারণ প্রভাব ফেলেছে।’

রুবাইয়াত জাহান জানান, রাহাত ফতেহ আলী খান গানটি নিখুঁতভাবে গাওয়ার জন্য বাংলা গানটি উর্দু লিপিতে লিখে নিয়েছিলেন এবং বহুবার অনুশীলন করেন। রুবাইয়াত বলেন, ‘তার মত একজন কিংবদন্তির সঙ্গে গান গাইতে পারা আমার জন্য সত্যিই অনেক বড় সম্মানের।’

প্রসঙ্গত, এই যুগলবন্দী শুধু একটি গান নয়, বরং দক্ষিণ এশীয় সংগীতের ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি পাকিস্তানের সমৃদ্ধ কাওয়ালি ঐতিহ্য এবং বাংলাদেশের সুরের গভীরতাকে এক সুরে গেঁথে দুই দেশের শিল্প ও সংস্কৃতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।

হিরো আলমের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা

বাংলা গানে অভিষেক রাহাত ফাতেহ আলী খানের

আপডেট সময় ১১:৫৪:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিশ্বখ্যাত পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খান। হৃদয়স্পর্শী কণ্ঠের জন্য বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। প্রথমবারের মত বাংলা গানে কণ্ঠ দিয়ে বাংলাদেশের সংগীতপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছেন। এই অপ্রত্যাশিত চমক দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী রুবাইয়াত জাহানের সঙ্গে জুটি বেঁধে রাহাত ফতেহ আলী খান গেয়েছেন ‘তুমি আমার প্রেম পিয়াসা’ শিরোনামের একটি দ্বৈত গান। এর সুর ও সংগীত করেছেন পাকিস্তানের বিখ্যাত সংগীত পরিচালক রাজা কাশেফ। মূলত তারই অনুপ্রেরণায় এই চ্যালেঞ্জিং কাজটি হাতে নেন রাহাত।

গানটি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শ্রোতারা রাহাতের উচ্চারণশুদ্ধি এবং গানে তার আবেগ প্রকাশের গভীরতায় মুগ্ধ। বিশেষ করে গানের একটি লাইন, ‘এলে তুমি মনের গভীরে, জানবে তোমার আমি কে’, ভক্তদের মাঝে দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, রাহাতকে দেখে মনেই হচ্ছিল না তিনি একজন বিদেশি শিল্পী; বরং একজন দক্ষ বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পীর মতোই শোনাচ্ছিল তাকে।

পাকিন্তানি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সংগীত পরিচালক রাজা কাশেফ বলেন, ‘আশা ভোঁসলে এবং আদনান সামির মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে, কিন্তু রাহাতের এই পরিবেশনা সত্যিই অসাধারণ এক ছাপ রেখে গেছে। তার মূল্যবান গায়কী আমার এবং পৃথিবীর সব সংগীতপ্রেমীর ওপর এক অসাধারণ প্রভাব ফেলেছে।’

রুবাইয়াত জাহান জানান, রাহাত ফতেহ আলী খান গানটি নিখুঁতভাবে গাওয়ার জন্য বাংলা গানটি উর্দু লিপিতে লিখে নিয়েছিলেন এবং বহুবার অনুশীলন করেন। রুবাইয়াত বলেন, ‘তার মত একজন কিংবদন্তির সঙ্গে গান গাইতে পারা আমার জন্য সত্যিই অনেক বড় সম্মানের।’

প্রসঙ্গত, এই যুগলবন্দী শুধু একটি গান নয়, বরং দক্ষিণ এশীয় সংগীতের ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি পাকিস্তানের সমৃদ্ধ কাওয়ালি ঐতিহ্য এবং বাংলাদেশের সুরের গভীরতাকে এক সুরে গেঁথে দুই দেশের শিল্প ও সংস্কৃতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।