দলীয় প্রভাব খাটিয়ে,বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও বরগুনা-২, আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মনি পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ছাত্র- ছাত্রীদের নিয়ে সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজে রাজনৈতিক সমাবেশ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে লেমুয়া সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজে নুরুল ইসলাম মনির রাজনৈতিক সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। লেমুয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রায়হানপুর আলিম মাদ্রাসা, সৈয়দা ফিরোজা বেগম বালিকা বিদ্যালয়, লেমুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লেমুয়া কিন্ডারগার্টেন এর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখে প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়।
কোন রাজনৈতিক নেতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ছাত্রছাত্রী নিয়ে রাজনৈতিক সমাবেশ করতে পারবেন না মর্মে সরকারের সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা আছে। সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তার অনুষ্ঠানে আসতে বাধ্য করেছেন।
বরগুনা-২, সংসদীয় আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী মাওলানা শামীম আহম্মেদ তার ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সমাবেশের যোগ দিতে বাধ্য করার বিষয়ে প্রতিবাদ জানান। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে রাজনৈতিক সমাবেশ প্রসঙ্গে বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরগুনা-২, আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিগত ফেসিস্ট সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন আমরাও যদি একই কাজ করি তাহলে ফ্যাসিস্ট আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? আমাদের বসন্তের কোকিল জনাব নুরুল ইসলাম মনি সাহেব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তার ব্যক্তিগত সমাবেশ করেছেন এটা খুবই লজ্জাজনক এবং দুঃখজনক। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান বলেছেন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাজনৈতিক সমাবেশ করা যাবে না। মনি সাহেবের এই কর্মকান্ডকে আমি তীব্র নিন্দা জানাই।
বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন কিছু জানিনা।