গাজীপুরের টঙ্গীতে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রেদোয়ান আহমাদ আদন (২৫) নামে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় সুন্দরবন কোরিয়ার সার্ভিস ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, রেদোয়ান আহমাদ আদন টঙ্গী সরকারি কলেজের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী।
এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান জিলানী। জিডিতে তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন— রেদোয়ান আহমাদ আদন, আজাহার (৫০) ও ইউসুফ শরীফ (৪০)। এছাড়া জিডিতে অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মামার রেস্টুরেন্ট থেকে অর্থ চুরির অভিযোগে রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে নিজের বাসায় তিনদিন ধরে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করেন রেদোয়ান আহমাদ আদন ও তার কয়েকজন সহযোগী। বিষয়টি জানার পর টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশ এবং কিছু স্থানীয় সাংবাদিক ওই বাসায় যান। এ সময় সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান জিলানী তথ্য সংগ্রহ এবং ভিডিও ধারণ করতে শুরু করলে রেদোয়ান ও তার সহযোগীরা উত্তেজিত হয়ে তার ওপর চড়াও হন। তারা তাকে গালিগালাজ করেন ও মারধরের হুমকি দেন। এক পর্যায়ে জোরপূর্বক ওই সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ধারণকৃত ভিডিও মুছে ফেলেন। এমনকি ওই সাংবাদিককে আটকে রাখেন তারা। পরবর্তীতে গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিরনের ফোন পাওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রেদোয়ান আহমদ আদন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রোহানুজ্জামান শুক্কুর বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিরনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের।