ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপির বিজয়কে ঠেকাতে পারবে না: দুলু Logo ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দে আইকনিক হচ্ছে আন্দরকিল্লা মসজিদ Logo নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল জামায়াতে ইসলামী Logo চবি ছাত্রদলের ৩ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ শিবিরের Logo সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালের রয়েছে Logo চবির আবাসিক হলে ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীর কক্ষে দুই বহিরাগত সনাক্ত Logo পাকিস্তানের ২৫ ঘাঁটি দখল ও ৫৮ সেনাকে হত্যার দাবি আফগানিস্তানের Logo ‘আগে শিক্ষার্থীরা নেতাদের গুনে চলতে হতো, রাকসু হওয়ার পর নেতৃত্ব দিতে শিখবে’ Logo সারাদেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু Logo ময়মনসিংহ বিভাগের সঙ্গে সারাদেশের বাস চলাচল বন্ধ

‘শিবিরের বাচ্চাদের রাজনীতি করতে দেব না’ বিউলের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ জবি শিবিরের

আগামী নির্বাচনের পর কোনো ‘শিবিরের বাচ্চা’কে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না জবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়ালের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি আব্দুল আলীম আরিফ বলেন, রবিউলের মন্তব্য আক্রমণাত্মক, অবমাননাকর ও গণতান্ত্রিক চর্চার পরিপন্থী।

তারা অভিযোগ করেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্রসংগঠনকে নিয়ে এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট করবে এবং তরুণ প্রজন্মকে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে দমন করার নোংরা অপচেষ্টা।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে ছাত্রদলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুপন্তি রত্নাও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন, যা ফ্যাসিস্ট চরিত্রের প্রতিফলন।

শিবির নেতারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রতিটি নাগরিককে মতপ্রকাশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের অধিকার দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্তচিন্তার জায়গা সেখানে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।

অবশেষে তারা রবিউল আউয়ালের বক্তব্য প্রত্যাহার এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘নারী নিপীড়ন ও অবস্থান কর্মসূচী’ প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়াল বলেন, “১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনদের যারা ধর্ষণ করেছে, তাদের উত্তরসূরিরা সেই কালচার আবার ফিরিয়ে আনতে চায়। যাদের বাপ-দাদারা ১৯৭১ সালে এ দেশে পরাজিত হয়েছে, মাথা নত করে পালিয়ে গেছে। আমরা আশাবাদি সামনের নির্বাচনের পরে তারাও লেজগুটিয়ে পালিয়ে যাবে। এ দেশের মাটিতে আর কোনো পাকিস্তানি কায়েম হতে দেব না। কোনো রাজাকারের বাচ্চাকে স্টাবলিশ হতে দেব না। কোনো শিবিরের বাচ্চাকে এ দেশে রাজনীতি করতে দেব না।”

ট্যাগস :

কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপির বিজয়কে ঠেকাতে পারবে না: দুলু

‘শিবিরের বাচ্চাদের রাজনীতি করতে দেব না’ বিউলের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ জবি শিবিরের

আপডেট সময় ০৪:০৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আগামী নির্বাচনের পর কোনো ‘শিবিরের বাচ্চা’কে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না জবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়ালের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি আব্দুল আলীম আরিফ বলেন, রবিউলের মন্তব্য আক্রমণাত্মক, অবমাননাকর ও গণতান্ত্রিক চর্চার পরিপন্থী।

তারা অভিযোগ করেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্রসংগঠনকে নিয়ে এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট করবে এবং তরুণ প্রজন্মকে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে দমন করার নোংরা অপচেষ্টা।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে ছাত্রদলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুপন্তি রত্নাও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন, যা ফ্যাসিস্ট চরিত্রের প্রতিফলন।

শিবির নেতারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রতিটি নাগরিককে মতপ্রকাশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের অধিকার দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্তচিন্তার জায়গা সেখানে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।

অবশেষে তারা রবিউল আউয়ালের বক্তব্য প্রত্যাহার এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘নারী নিপীড়ন ও অবস্থান কর্মসূচী’ প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়াল বলেন, “১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনদের যারা ধর্ষণ করেছে, তাদের উত্তরসূরিরা সেই কালচার আবার ফিরিয়ে আনতে চায়। যাদের বাপ-দাদারা ১৯৭১ সালে এ দেশে পরাজিত হয়েছে, মাথা নত করে পালিয়ে গেছে। আমরা আশাবাদি সামনের নির্বাচনের পরে তারাও লেজগুটিয়ে পালিয়ে যাবে। এ দেশের মাটিতে আর কোনো পাকিস্তানি কায়েম হতে দেব না। কোনো রাজাকারের বাচ্চাকে স্টাবলিশ হতে দেব না। কোনো শিবিরের বাচ্চাকে এ দেশে রাজনীতি করতে দেব না।”