লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ১৪ বছরের এক মুসলিম কিশোরীকে অপহরণ করে টানা সাতদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে জয় কুরি (২৫) নামের এক হিন্দু যুবক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে ঘটনার এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও মূল অভিযুক্ত জয় কুরি ও তার তিন সহযোগীকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বাসার সামনে থেকে মুখে রুমাল চেপে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় জয় কুরি ও তার সহযোগীরা। অজ্ঞাত স্থানে তাকে সাতদিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়। পরে ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় রায়পুর শহরের মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে অসুস্থ অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয় এক পথচারী কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শহরের পুর্বলাচ গ্রামের কামাল ভুইয়া সড়কের স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনন্ত কুরির ছেলে জয় কুরি এ ঘটনায় জড়িত। তবে অভিযুক্তের খোঁজে তার বাড়িতে গেলে পরিবারের সদস্যরা খারাপ আচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জয় কুরির বাবা অনন্ত কুরির সাথে ” ঢাকা ভয়েস ” মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে। কল রিসিভ করার পরে অনন্ত কুরি তার ছেলে জয় কুরির বিরুদ্ধে মুসলিম কিশোরী কে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে তিনি গণমাধ্যম কর্মীর সাথে কোনো কথা বলতে ইচ্ছুক নয়। অনন্ত কুরি এমনটি “ঢাকা ভয়েস” কে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া দাবি করেছেন, “ভিকটিম পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে কিশোরীকে উদ্ধার, মামলা রেকর্ড ও ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মূল অভিযুক্তকে আসামি ধর্ষক জয় কুরি কে আজ দুপুর ১১টায় গ্রেপ্তার করে রায়পুর থানার ওসি নিজান উদ্দিন ভূঁইয়া।
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবারসহ স্থানীয়রা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক জয় কুরি সহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।