ছাত্রদল রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদ।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফরহাদ বলেছেন, হাইকোর্টে রিট করার দুই দিন পার হওয়ার পর যখন ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করার প্রসঙ্গ আসে, তখন তাদের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে তারা ডাকসুর বিষয়েই কনসার্নড, আমার বিষয়ে নয়। অথচ এরপর তারা গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে শিবির হিসেবে প্রচার করছে। অথচ আমি নিজেই প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীকে আইনি পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছি।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, কিছু মিডিয়া আমাদের ফিডব্যাক না নিয়েই শিবিরের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করছে। এক যুবদল নেতা চাঁদাবাজি করতে গিয়ে একজন ব্যবসায়ীর মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করেছিলেন। এ ঘটনা প্রকাশ করায় এক রিপোর্টার চাকরিচ্যুত হয়েছেন।
শিবির নেতা ফরহাদ দাবি করেন, এই দলের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৪৪টি ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমাদের কাছে ৫০০ পৃষ্ঠার স্ক্রিনশট রয়েছে, যেখানে দেখা যায় ছাত্রদল শিবিরের নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্লাট শেমিং করেছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল বহিরাগত দিয়ে হামলা চালিয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শতাধিক হতাহতের ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতারা দায়ী। অথচ এখন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ করে বলছে, ‘একটা একটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর।’
আমাদের কাছে এই ভিডিওর স্ক্রিন রেকর্ডিং রয়েছে, যা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ফেসবুক পেজেও শেয়ার করা হয়েছে।