চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতি।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষক সমিতির নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের ঘটনায় ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
এ সময় তারা আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর পুলিশের পাশাপাশি সেনাসদস্যদের হামলার ঘটনাও উদ্বেগজনক। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।
মানবন্ধনে শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. বেলাল হোসাইন বলেন, “রাজনৈতিক নেতা ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাসহ সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ৫ আগস্টের আগের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তির মতো মনে হচ্ছে। সমাজে অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। এসব হামলার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।”
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, “নূরের ওপর হামলার ঘটনায় একজন লাল টি-শার্ট পরা পুলিশের কনস্টেবলকে যেভাবে দেখা গেছে, তা দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তার পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি চবি ও বাকৃবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার করতে হবে।”
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমাদের দুটি যৌক্তিক দাবি আছে—শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং হামলাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।”
এ সময় রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. লোকমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব লিমন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইউসুব উসমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন ।##