ঢাকা ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চবি-বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন Logo শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি থাকতে পারবে না রাজনৈতিক নেতারা Logo প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ Logo আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ৬২২ জন নিহত, আহত দেড় হাজারের বেশি Logo বন্যার ধকল সামলানোর আগেই ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান Logo তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল Logo থমথমে পরিবেশ চবি এলাকার, চলছে ১৪৪ ধারা Logo আজ ইশতেহার ঘোষণা করবে ছাত্রশিবিরের সমর্থিত প্যানেল Logo মনিরুল সিন্ডিকেটের হিসাবে হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণ! Logo হল ছাড়ার নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাকৃবি’তে শিক্ষার্থীদের ফের বিক্ষোভ
বন্যার ধকল সামলানোর আগেই ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান

বন্যার ধকল সামলানোর আগেই ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের নানগারহার ও কুনার প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫০০ মানুষ। রোববার (৩১ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে আঘাত হানে ছয় মাত্রার এ ভূকম্পন।

এর কেন্দ্রস্থল ছিল জালালাবাদ শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে এবং গভীরতা ছিল মাত্র আট কিলোমিটার।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্গম এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমিকম্পের পর একাধিক পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। আতঙ্কে শত শত মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন।

নানগারহারের তরুণ পোলাদ নুরি জানান, তিনি অন্তত ১৩ বার পরাঘাত গুনেছেন। তার ভাষায়, এত শক্তিশালী ভূমিকম্প জীবনে কখনো দেখিনি।

ভূমিকম্পের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ভূমিধসের কারণে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে উদ্ধারকাজ কেবল আকাশপথে চালানো সম্ভব হচ্ছে।

হেলিকপ্টারে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কুনারে পাঠানো হয়েছে, যেখানে তারা আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং গুরুতর আহতদের অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

অন্যদিকে নানগারহারের হাসপাতালগুলোতে রক্তের সংকট দেখা দেওয়ায় স্বেচ্ছাসেবীরা দলে দলে রক্তদান করতে আসছেন।

তালেবান সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছে জরুরি সহায়তার আবেদন জানিয়েছে।

আফগানিস্তানের দুর্যোগপীড়িত এই অঞ্চলটি গত সপ্তাহান্তে আঘাত হানা আকস্মিক বন্যার ধকল এখনো সামলে উঠতে পারেনি। তার আগেই বিধ্বস্ত হলো শক্তিশালী ভূমিকম্পে।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে নানগারহার ও কুনারে বন্যায় অন্তত পাঁচজন নিহত হন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হিসাব অনুযায়ী, এতে অন্তত ৪০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বন্যার কারণে ভূমিধস ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যার ফলে সাময়িকভাবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার যোগাযোগও ব্যাহত হয়।

এমন পরিস্থিতিতে একই অঞ্চলে নতুন করে শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেলো।

সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা

ঢাকাভয়েস/২৪জেএ

জনপ্রিয় সংবাদ

চবি-বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

বন্যার ধকল সামলানোর আগেই ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান

বন্যার ধকল সামলানোর আগেই ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান

আপডেট সময় ১২:৪৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের নানগারহার ও কুনার প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫০০ মানুষ। রোববার (৩১ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে আঘাত হানে ছয় মাত্রার এ ভূকম্পন।

এর কেন্দ্রস্থল ছিল জালালাবাদ শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে এবং গভীরতা ছিল মাত্র আট কিলোমিটার।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্গম এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমিকম্পের পর একাধিক পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। আতঙ্কে শত শত মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন।

নানগারহারের তরুণ পোলাদ নুরি জানান, তিনি অন্তত ১৩ বার পরাঘাত গুনেছেন। তার ভাষায়, এত শক্তিশালী ভূমিকম্প জীবনে কখনো দেখিনি।

ভূমিকম্পের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ভূমিধসের কারণে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে উদ্ধারকাজ কেবল আকাশপথে চালানো সম্ভব হচ্ছে।

হেলিকপ্টারে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কুনারে পাঠানো হয়েছে, যেখানে তারা আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং গুরুতর আহতদের অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

অন্যদিকে নানগারহারের হাসপাতালগুলোতে রক্তের সংকট দেখা দেওয়ায় স্বেচ্ছাসেবীরা দলে দলে রক্তদান করতে আসছেন।

তালেবান সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছে জরুরি সহায়তার আবেদন জানিয়েছে।

আফগানিস্তানের দুর্যোগপীড়িত এই অঞ্চলটি গত সপ্তাহান্তে আঘাত হানা আকস্মিক বন্যার ধকল এখনো সামলে উঠতে পারেনি। তার আগেই বিধ্বস্ত হলো শক্তিশালী ভূমিকম্পে।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে নানগারহার ও কুনারে বন্যায় অন্তত পাঁচজন নিহত হন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হিসাব অনুযায়ী, এতে অন্তত ৪০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বন্যার কারণে ভূমিধস ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যার ফলে সাময়িকভাবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার যোগাযোগও ব্যাহত হয়।

এমন পরিস্থিতিতে একই অঞ্চলে নতুন করে শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেলো।

সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা

ঢাকাভয়েস/২৪জেএ