জামায়াতে ইসলামীর নীলফামারী-৪ আসনের মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনি সভায় অংশ নিয়ে চার হিন্দু ধর্মাবলম্বী জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন।
রোববার বড়ভিটা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আয়োজনে মেলাবর ইউসুফিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে নির্বাচনি সভায় তারা যোগদান করেন।
এসময় নীলফামারী-৪ আসনের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম, উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আব্দুর রশিদ শাহ্ তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা জানান ও বরণ করে নেন।
সূত্র জানায়, বড়ভিটা জামায়াত নেতৃবৃন্দ মেলাবর এলাকায় দাওয়াতি কার্যক্রম চালায়। এসময় জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ভালবাসা, ন্যায়, নীতি, নিষ্ঠায় মুগ্ধ হয়ে চার হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি জামায়াতে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। ফলে রোববার জামায়াতের নির্বাচনি সভায় তারা অংশগ্রহণ করে দলটিতে যোগদান করেন।
জামায়াতে যোগ দেওয়া হিন্দু ধর্মাবলম্বী ৪ জন হলো— শ্রী শুশিল অধিকারী, শ্রী রঘু নাথ, শ্রী রবিন্দ্র চন্দ্র রায় ও শ্রী শুসিল।
জামায়াতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে শ্রী শুশিল চন্দ্র অধিকারী জানান—জামায়াতে ইসলামী একটি ন্যায়, নীতিবান, আদর্শবান দল। যে দলে চাঁদাবাজ নেই, সন্ত্রাস নেই ও ঘুষ-দুর্নীতিবাজদের স্থান নেই। যে দলে ধর্মীয় বৈষম্য নেই। এ দলটিকে যত দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। এ মুগ্ধতা থেকে জামায়াতে যোগদান করা। লক্ষ্য করেছি জামায়াতে ইসলামী দলে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানে কোনো ভেদাভেদ নেই। আগামীতে এ দলটির কাঁধে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আসলে সকলেই সুখে-শান্তিতে থাকবো। তাই আগামী নির্বাচনে দলটির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি ।
নির্বাচনি সভাটি বড়ভিটা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে ও ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি হাসানুর হাবিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন—কিশোরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আব্দুর রশিদ শাহ্।
আরো বক্তব্য দেন—উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম, বড়ভিটা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি জামিনুর রহমান প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—বড়ভিটা ইউনিয়ন জামায়াতের সহসভাপতি আমিনুর রহমান, সুপার মো. মোজাফ্ফর হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম বলেন—আগামীর বাংলাদেশ হবে ধর্মীয় বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। যে দেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের মাঝে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। আমরা যে ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে সকলে কাঁধে কাঁধ মিলে কাজ করছি। সেভাবেই আগামীর বাংলাদেশ হবে ফ্যাসিবাদমুক্ত, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী-ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত ইসলামী শাসনের নতুন বাংলাদেশ।
ঢাকাভয়েস/২৪ জেএ