ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‎ছাত্রদল নেতাকে মেরে ছিনতাইয়ের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে Logo ডাকসু নির্বাচনে বল পেন ব্যবহারে ভোট নষ্ট হয়েছে -আবিদ Logo রাবিতে কর্মবিরতি উপেক্ষা করে গাছতলায় ক্লাস নিলেন অধ্যাপক মোর্শেদুল Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মশাল মিছিল, ধাওয়া দিয়ে ৪ জনকে ধরল জনতা Logo রাতভর বৃষ্টিতে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা, বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত ১ Logo লক্ষ্মীপুরে বিকাশ-নগদ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান, গ্রেপ্তার ৪ Logo উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের পথে নুর Logo কুমিল্লা-৩ আসনে ভোটের মাঠে দৌড়াচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ইউসুফ হাকিম সোহেল Logo চট্টগ্রাম মিরসরাইয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, আহত ৫ Logo রাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের

গণনা শেষ, পাগলা মসজিদের সিন্দুকে মিলল রেকর্ড পরিমান টাকা

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে আবারও দেখা গেল দানের ঢল। চার মাস ১৭ দিন পর আজ শনিবার সকাল ৭টায় খোলা হয় মসজিদের ১৩টি লোহার দানবাক্স। বাক্স খোলার সঙ্গে সঙ্গেই চোখে পড়ে টাকার স্তুপ। এ যেন টাকার পাহাড়।

এগুলো ভরতে প্রয়োজন হয় ৩২টি বস্তা। টাকা গণনার কাজ চলে মসজিদের দোতলায়। সেখানেই চলে দিনভর গণনা। টানা ১৩ ঘণ্টা গণনা করে রাত ৮টার পর শেষ হয় গণনা-কার্যক্রম।

শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায় ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা, যা মসজিদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দানের রেকর্ড। রাত সোয়া আটটার দিকে পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

গণনায় অংশ নেন সাড়ে সাড়ে চার শতাধিক কর্মী। ছিলেন মসজিদের কর্মচারী, মাদরাসার ছাত্র, ব্যাংক কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকরা।

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে চলে গণনার কাজ। এই গণনার কাজ তদারকি করেন জেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নিরাপত্তায় ছিল সেনা, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা।

নগদ টাকার পাশাপাশি দানবাক্সে পাওয়া গেছে স্বর্ণালঙ্কার, রূপা ও বৈদেশিক মুদ্রাও। শুধু দানবাক্স নয়, এবার প্রথমবারের মতো চালু করা হয় অনলাইনে দানের ব্যবস্থা।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেও এসেছে ৫ লাখেরও বেশি টাকা। এর আগে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন পাওয়া যায় ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। এবারের পাওয়া দানের টাকা সেই রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেছে।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, দানকারীদের বিশ্বাস, এখানকার দানে পূর্ণ হয় মনোবাসনা। অনেকে সুস্থতা ও মনের শান্তির জন্যও দান করেন এই মসজিদে। শুধু মুসলমান নয়, সব ধর্মের লোকজনই এখানে দান করে থাকেন। অনেকে নগদ টাকার পাশাপাশি দেন গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিও। তিনি বলেন, মানুষের দানের টাকা দিয়ে এখানে প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে একটি দৃষ্টিনন্দন আন্তর্জাতিক মানের বহুতল ইসলামি কমপ্লেক্স। খুব শিগগিরই কমপ্লেক্সের কাজ শুরু করার জোর প্রস্তুতি চলছে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেছেন, গণনা প্রক্রিয়াটি ছিল সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ও স্বচ্ছ। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই মসজিদের টাকা গণনার কাজ শেষ হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

‎ছাত্রদল নেতাকে মেরে ছিনতাইয়ের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

গণনা শেষ, পাগলা মসজিদের সিন্দুকে মিলল রেকর্ড পরিমান টাকা

আপডেট সময় ০৮:৫৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে আবারও দেখা গেল দানের ঢল। চার মাস ১৭ দিন পর আজ শনিবার সকাল ৭টায় খোলা হয় মসজিদের ১৩টি লোহার দানবাক্স। বাক্স খোলার সঙ্গে সঙ্গেই চোখে পড়ে টাকার স্তুপ। এ যেন টাকার পাহাড়।

এগুলো ভরতে প্রয়োজন হয় ৩২টি বস্তা। টাকা গণনার কাজ চলে মসজিদের দোতলায়। সেখানেই চলে দিনভর গণনা। টানা ১৩ ঘণ্টা গণনা করে রাত ৮টার পর শেষ হয় গণনা-কার্যক্রম।

শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায় ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা, যা মসজিদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দানের রেকর্ড। রাত সোয়া আটটার দিকে পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

গণনায় অংশ নেন সাড়ে সাড়ে চার শতাধিক কর্মী। ছিলেন মসজিদের কর্মচারী, মাদরাসার ছাত্র, ব্যাংক কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকরা।

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে চলে গণনার কাজ। এই গণনার কাজ তদারকি করেন জেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নিরাপত্তায় ছিল সেনা, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা।

নগদ টাকার পাশাপাশি দানবাক্সে পাওয়া গেছে স্বর্ণালঙ্কার, রূপা ও বৈদেশিক মুদ্রাও। শুধু দানবাক্স নয়, এবার প্রথমবারের মতো চালু করা হয় অনলাইনে দানের ব্যবস্থা।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেও এসেছে ৫ লাখেরও বেশি টাকা। এর আগে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন পাওয়া যায় ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। এবারের পাওয়া দানের টাকা সেই রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেছে।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, দানকারীদের বিশ্বাস, এখানকার দানে পূর্ণ হয় মনোবাসনা। অনেকে সুস্থতা ও মনের শান্তির জন্যও দান করেন এই মসজিদে। শুধু মুসলমান নয়, সব ধর্মের লোকজনই এখানে দান করে থাকেন। অনেকে নগদ টাকার পাশাপাশি দেন গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিও। তিনি বলেন, মানুষের দানের টাকা দিয়ে এখানে প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে একটি দৃষ্টিনন্দন আন্তর্জাতিক মানের বহুতল ইসলামি কমপ্লেক্স। খুব শিগগিরই কমপ্লেক্সের কাজ শুরু করার জোর প্রস্তুতি চলছে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেছেন, গণনা প্রক্রিয়াটি ছিল সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ও স্বচ্ছ। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই মসজিদের টাকা গণনার কাজ শেষ হয়েছে।