ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বগুড়ায় খাস জমি দখলে আ’মী লীগ নেতা, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা Logo আমরা উচ্চকক্ষে পিআরের পক্ষে, নিম্নকক্ষে পিআরের পক্ষে নই- জামালপুরে সারজিস আলম Logo এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ১৬ অক্টোবর,যে ভাবে দেখবেন Logo ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “সমাবর্তন” অনুষ্ঠান Logo ঢাবির ছাত্রাবাসের সামনে সংঘর্ষ, নেপথ্যে ঢাকা কলেজ ছাত্রদল কর্মীর দোকান Logo আবু সাঈদ হত্যা মামলার দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Logo চবি ছাত্রদলের নেতা মামুনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল Logo নর্থসাউথ শিক্ষার্থীর কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে হরগঙ্গায় কোরআন বিতরণ Logo দিনাজপুরে শিবিরকর্মী হত্যা মামলায় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন কারাগারে Logo ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক

ডাকসুতে ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা ছাত্রদলের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য ছাত্রদল মনোনীত ‘আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ’ তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ইশতেহার পড়ে শোনান।

ইশতেহারে মোট ৭৫টি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন তিনি। ইশতেহারে শিক্ষা ও গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে আধুনিক, আনন্দময়, বসবাসযোগ্য ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন তারা।

ইশতেহারের দশ দফা হলো– ১. শিক্ষা ও গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে আধুনিক ক্যাম্পাস গড়া; ২. নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস; ৩. মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত করা; ৪. কারিকুলাম, অবকাঠামো ও গবেষণার মানোন্নয়ন; ৫. পরিবহণ ব্যবস্থা সহজ করা; ৬. হয়রানিমুক্ত প্রশাসনিক সেবা; ৭. তরুণদের গঠনমূলক কাজে সম্পৃক্ত করা; ৮. সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধ সাইবার সেল গঠন; ৯. পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা, ডাকসু নির্বাচন নিয়মিত করা এবং ১০. সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের নিয়মিত আয়োজন।

বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিতে বলা হয়, গেস্টরুম-গণরুম সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক দমনপীড়ন চিরতরে বন্ধ করা হবে। পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে, রোধ করা হবে বহিরাগত প্রবেশ। ডাকসুর অধীনে একটি স্বাধীন ‘শিক্ষার্থী সুরক্ষা সেল’ গঠন, ‘সাইবার সিকিউরিটি সেল’, ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন সেবা এবং হলগুলোতে মেডিকেল কর্নার চালু, টিএসসিতে একটি ‘মেন্টাল ওয়েলবিয়িং সেন্টার’ গড়ে তোলা হবে।

অ্যাকাডেমিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে–ক্লাসরুম সংকট নিরসনে অবকাঠামো সম্প্রসারণ, ছাত্র, শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কোর্স কারিকুলাম পর্যালোচনা, ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষক বা প্রশাসনিক ব্যক্তির পক্ষপাতমূলক আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যকর পদ্ধতি গ্রহণ, স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পরীক্ষা, রেজাল্ট ও ক্লাস কার্যক্রম নিশ্চিত করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ায় খাস জমি দখলে আ’মী লীগ নেতা, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা

ডাকসুতে ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা ছাত্রদলের

আপডেট সময় ১০:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য ছাত্রদল মনোনীত ‘আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ’ তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ইশতেহার পড়ে শোনান।

ইশতেহারে মোট ৭৫টি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন তিনি। ইশতেহারে শিক্ষা ও গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে আধুনিক, আনন্দময়, বসবাসযোগ্য ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন তারা।

ইশতেহারের দশ দফা হলো– ১. শিক্ষা ও গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে আধুনিক ক্যাম্পাস গড়া; ২. নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস; ৩. মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত করা; ৪. কারিকুলাম, অবকাঠামো ও গবেষণার মানোন্নয়ন; ৫. পরিবহণ ব্যবস্থা সহজ করা; ৬. হয়রানিমুক্ত প্রশাসনিক সেবা; ৭. তরুণদের গঠনমূলক কাজে সম্পৃক্ত করা; ৮. সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধ সাইবার সেল গঠন; ৯. পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা, ডাকসু নির্বাচন নিয়মিত করা এবং ১০. সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের নিয়মিত আয়োজন।

বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিতে বলা হয়, গেস্টরুম-গণরুম সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক দমনপীড়ন চিরতরে বন্ধ করা হবে। পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে, রোধ করা হবে বহিরাগত প্রবেশ। ডাকসুর অধীনে একটি স্বাধীন ‘শিক্ষার্থী সুরক্ষা সেল’ গঠন, ‘সাইবার সিকিউরিটি সেল’, ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন সেবা এবং হলগুলোতে মেডিকেল কর্নার চালু, টিএসসিতে একটি ‘মেন্টাল ওয়েলবিয়িং সেন্টার’ গড়ে তোলা হবে।

অ্যাকাডেমিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে–ক্লাসরুম সংকট নিরসনে অবকাঠামো সম্প্রসারণ, ছাত্র, শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কোর্স কারিকুলাম পর্যালোচনা, ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষক বা প্রশাসনিক ব্যক্তির পক্ষপাতমূলক আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যকর পদ্ধতি গ্রহণ, স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পরীক্ষা, রেজাল্ট ও ক্লাস কার্যক্রম নিশ্চিত করা হবে।