ঢাকা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল: আদর্শের পতন না সিন্ডিকেটের উত্থান? Logo উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল! Logo ইরানের হামলায় ইসরায়েলের হার্মেস-৯০০ ড্রোন ভূপাতিত-দাবি ইরানের Logo আবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইরান Logo সাবেক এমপি তুহিন গ্রেপ্তার Logo যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা সতর্কতা জারি Logo যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে জনগণ,অংশ নিলেন প্রেসিডেন্টও Logo নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য ১৪৭ দলের আবেদন Logo পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী হাউসবোটে নিষেধাজ্ঞা Logo আজ ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি করবে সচিবালয়ের কর্মচারীরা

২৮ অক্টোবর হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি পুলিশের

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ও পরবর্তী সময়ে নাশকতার মূল পরিকল্পনাকারী এবং নাশকতায় সক্রিয় ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক শামিম মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গ্রেপ্তার এ ছাত্রদল নেতা মহাসমাবেশের দিন পল্টনে দলের কার্যালয় এলাকা এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন। এ সময় জানানো হয়, গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে শামিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মহিদ উদ্দিন বলেন, গত ২৬ অক্টোবর থেকে শামিম নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। যার বাস্তবায়ন করেছিল ২৮ অক্টোবর। ওই হামলার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তিনি (শামিম) পল্টন পার্টি অফিস ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নাশকতার জন্য ঢুকেছিলেন। তিনি ব্যাগে করে ককটেল নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। তার দলীয় পরিচয় আমরা জেনেছি, তিনি ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক।

শামিম কেন্দ্রীয় এক নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী সক্রিয় ছিলেন জানিয়ে মহিদ উদ্দিন বলেন, সমাবেশের আগে দনিয়া ফুট ওভারব্রিজের নিচে গিয়ে মারুফ নামের একজনের থেকে একটি ব্যাগ সংগ্রহ করেন শামিম। সেটি এনে রিয়াদ নামের একজনের কাছে নয়াপল্টনে পৌঁছে দেন।পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮ অক্টোবর কাজগুলো তারা করতেও পারেন সফলভাবে।

চলতি মাসের ৫ অক্টোবর সবুজবাগ থানার মানিকদি গ্রিন মডেল টাউনের শেষ মাথায় খালপাড়ে দুষ্কৃতকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা করে। সবুজবাগ থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হলে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ, একটি অবিস্ফোরিত ককটেল, একটি পেট্রলবোমা, দুইটি ২৫০ মিলি প্লাস্টিকের বোতলে ৫০০ মিলি পেট্রল, একটি নীল রঙের মোটরসাইকেল, একটি লাল রঙের হেলমেট। সেদিন জব্দ করা মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে ছাত্রদল নেতা শামীমকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এ ছাড়া বুধবার ভোরে রাজধানীর পল্লবীর ১১ নম্বর ওয়ালটনের গলিতে পার্কিং করা অবস্থায় বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগকারী মারুফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মারুফকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে মহিদ উদ্দিন বলেন, বিএনপি নেতা সাজ্জাদ কাউন্সিলর ও জসিমের নির্দেশে ও তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তা ও প্ররোচনায় কেরোসিন ঢেলে বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ কাজের জন্য তাকে (মারুফ) তিন হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল: আদর্শের পতন না সিন্ডিকেটের উত্থান?

২৮ অক্টোবর হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি পুলিশের

আপডেট সময় ০৪:১৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ও পরবর্তী সময়ে নাশকতার মূল পরিকল্পনাকারী এবং নাশকতায় সক্রিয় ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক শামিম মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গ্রেপ্তার এ ছাত্রদল নেতা মহাসমাবেশের দিন পল্টনে দলের কার্যালয় এলাকা এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন। এ সময় জানানো হয়, গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে শামিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মহিদ উদ্দিন বলেন, গত ২৬ অক্টোবর থেকে শামিম নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। যার বাস্তবায়ন করেছিল ২৮ অক্টোবর। ওই হামলার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তিনি (শামিম) পল্টন পার্টি অফিস ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নাশকতার জন্য ঢুকেছিলেন। তিনি ব্যাগে করে ককটেল নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। তার দলীয় পরিচয় আমরা জেনেছি, তিনি ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক।

শামিম কেন্দ্রীয় এক নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী সক্রিয় ছিলেন জানিয়ে মহিদ উদ্দিন বলেন, সমাবেশের আগে দনিয়া ফুট ওভারব্রিজের নিচে গিয়ে মারুফ নামের একজনের থেকে একটি ব্যাগ সংগ্রহ করেন শামিম। সেটি এনে রিয়াদ নামের একজনের কাছে নয়াপল্টনে পৌঁছে দেন।পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮ অক্টোবর কাজগুলো তারা করতেও পারেন সফলভাবে।

চলতি মাসের ৫ অক্টোবর সবুজবাগ থানার মানিকদি গ্রিন মডেল টাউনের শেষ মাথায় খালপাড়ে দুষ্কৃতকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা করে। সবুজবাগ থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হলে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ, একটি অবিস্ফোরিত ককটেল, একটি পেট্রলবোমা, দুইটি ২৫০ মিলি প্লাস্টিকের বোতলে ৫০০ মিলি পেট্রল, একটি নীল রঙের মোটরসাইকেল, একটি লাল রঙের হেলমেট। সেদিন জব্দ করা মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে ছাত্রদল নেতা শামীমকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এ ছাড়া বুধবার ভোরে রাজধানীর পল্লবীর ১১ নম্বর ওয়ালটনের গলিতে পার্কিং করা অবস্থায় বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগকারী মারুফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মারুফকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে মহিদ উদ্দিন বলেন, বিএনপি নেতা সাজ্জাদ কাউন্সিলর ও জসিমের নির্দেশে ও তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তা ও প্ররোচনায় কেরোসিন ঢেলে বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ কাজের জন্য তাকে (মারুফ) তিন হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা করা হয়েছে।