ঢাকা ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আর পেরে উঠছি না : মেজর ইবরাহিম

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম নতুন জোট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার এই মুহূর্তের রাজনৈতিক অক্ষমতা হচ্ছে, এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আর পেরে উঠছি না।’

আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবাদ সম্মেলন করে যুক্তফ্রন্ট নামে নতুন এই জোটের ঘোষণা দেন মুহাম্মদ ইবরাহিম। এতে কল্যাণ পার্টি ছাড়াও আরো আছে বাংলাদেশ মুসলীম লীগ (বিএমএল) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মতিন)।

এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পূর্বের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন প্রসঙ্গে সৈয়দ ইবরাহিমের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, আমি এবং আমার নেতাকর্মীরা কষ্ট করে রাজনীতিটাকে টিকিয়ে রেখেছি। আমাদের টিকে থাকার একটা সীমা আছে। আমার এই মুহূর্তের রাজনৈতিক অক্ষমতা হচ্ছে, এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আর পেরে উঠছি না।

২৮ অক্টোবরের পর একটা সুনির্দিষ্ট অবস্থা এসে দাঁড়িয়েছে। আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে- আমি কি নিশ্চুপ থাকব নাকি বিকল্প পন্থা অবলম্বন করব। আমি বিকল্প পন্থা নিলাম। কারণ, আমার যে কথাগুলো বলার জায়গা নাই সেটা সংসদে বলব।

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য কোনো চাপ আছে কি না জানতে চাইলে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, ‘আমি পরশু দিন হাইকোর্টে গিয়েছিলাম। এই প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া এই মুহূর্তে আমার পক্ষে সমীচীন না। এটা উহ্য রাখতে হবে।’

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানাব উভয়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য পরিবেশে সংলাপের ব্যবস্থা করুন। জাতির মঙ্গলের জন্য সংলাপের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। আমি কখনোই বলব না বিএনপি তুমি নির্বাচনে আসো, কখনো বলব না এসো না।’

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না জানতে চাইলে মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘আশা করি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু হবে। এর নিশ্চয়তা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, যদি না হয় আমিও একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি হব এবং সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা আর আছে কি না জানতে চাইলে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমি মনে করি প্রয়োজনীয়তা আছে। কিন্তু বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি আসছে না। না আসার কারণে আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা হলো, যা আছে এর মধ্যে অংশ নেব নাকি সব কিছু থেকে বিরত থাকব। আমি প্রথম বিকল্পটা বেছে নিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের সম্ভাবনা আছে। কয়েকটা দিন বিলম্ব হতে পারে, না-ও হতে পারে। যদি মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন বিলম্ব হয়, তাহলে বাকি তারিখগুলোও আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাবে।

কয়টি আসনে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন করবে তা জানতে চাইলে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সেটা এখনো স্থির করিনি। তবে আমাদের ১০০টি আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়, নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাসচিব ফারুকুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাসচিব তফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন, স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আর পেরে উঠছি না : মেজর ইবরাহিম

আপডেট সময় ০৪:০৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম নতুন জোট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার এই মুহূর্তের রাজনৈতিক অক্ষমতা হচ্ছে, এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আর পেরে উঠছি না।’

আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবাদ সম্মেলন করে যুক্তফ্রন্ট নামে নতুন এই জোটের ঘোষণা দেন মুহাম্মদ ইবরাহিম। এতে কল্যাণ পার্টি ছাড়াও আরো আছে বাংলাদেশ মুসলীম লীগ (বিএমএল) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মতিন)।

এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পূর্বের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন প্রসঙ্গে সৈয়দ ইবরাহিমের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, আমি এবং আমার নেতাকর্মীরা কষ্ট করে রাজনীতিটাকে টিকিয়ে রেখেছি। আমাদের টিকে থাকার একটা সীমা আছে। আমার এই মুহূর্তের রাজনৈতিক অক্ষমতা হচ্ছে, এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আর পেরে উঠছি না।

২৮ অক্টোবরের পর একটা সুনির্দিষ্ট অবস্থা এসে দাঁড়িয়েছে। আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে- আমি কি নিশ্চুপ থাকব নাকি বিকল্প পন্থা অবলম্বন করব। আমি বিকল্প পন্থা নিলাম। কারণ, আমার যে কথাগুলো বলার জায়গা নাই সেটা সংসদে বলব।

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য কোনো চাপ আছে কি না জানতে চাইলে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, ‘আমি পরশু দিন হাইকোর্টে গিয়েছিলাম। এই প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া এই মুহূর্তে আমার পক্ষে সমীচীন না। এটা উহ্য রাখতে হবে।’

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানাব উভয়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য পরিবেশে সংলাপের ব্যবস্থা করুন। জাতির মঙ্গলের জন্য সংলাপের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। আমি কখনোই বলব না বিএনপি তুমি নির্বাচনে আসো, কখনো বলব না এসো না।’

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না জানতে চাইলে মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘আশা করি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু হবে। এর নিশ্চয়তা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, যদি না হয় আমিও একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি হব এবং সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা আর আছে কি না জানতে চাইলে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমি মনে করি প্রয়োজনীয়তা আছে। কিন্তু বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি আসছে না। না আসার কারণে আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা হলো, যা আছে এর মধ্যে অংশ নেব নাকি সব কিছু থেকে বিরত থাকব। আমি প্রথম বিকল্পটা বেছে নিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের সম্ভাবনা আছে। কয়েকটা দিন বিলম্ব হতে পারে, না-ও হতে পারে। যদি মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন বিলম্ব হয়, তাহলে বাকি তারিখগুলোও আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাবে।

কয়টি আসনে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন করবে তা জানতে চাইলে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সেটা এখনো স্থির করিনি। তবে আমাদের ১০০টি আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়, নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাসচিব ফারুকুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাসচিব তফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন, স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।