সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী হোসেনপুর লাল মসজিদের খতিব ও ইমাম মাওলানা মোস্তফা মাহমুদ ও মুয়াজ্জিন মাওলানা হাফিজুর রহমানকে মসজিদের খেদমত থেকে চাকুরীচ্যুতর প্রতিবাতে সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য মাওলানা শাহিনুর আলম এবং জেলা সেক্রেটারী মুহাম্মাদ জাহিদুল ইসলাম এক বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয় ,বিগত ১৪ বছর যাবত অত্যন্ত সুনামের সাথে ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদে খতিব ও ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছেন মাওলানা মোস্তফা মাহমুদ। তার জুমার খুৎবা ও আলোচনা শোনার জন্য সিরাজগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুক্রবারে মুসুল্লি দ্বারা মসজিদ ভরে যায়। বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলেও সময়োপযোগী আলোচনা রাখার কারণে তিনি ঐসময়ের সরকারের পেটুয়া বাহিনীর রোষানলে পরে অনেকবার কারাবরণ করেছেন। তারপরও তিনি তার ধারাবাহিক আলোচনা অব্যাহত রেখেছিলেন। অত্যন্ত পরিতাপের সাথে লক্ষ্য করছি যে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের বছর পেরনের আগেই আরো একটি দল ক্ষমতার যাবার মোহে মাওলানা মোস্তফা মাহমুদের কোরআনের ধারাবাহিক আলোচনাকে তার প্রতিবন্ধকতা মনে করে মসজিদ কমিটিকে দিয়ে জোড়পূর্বক ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে , এইহীন কাজের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে তারা বলেন যে, বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের যখন ব্যাপক আবহ প্রবাহমান সেই সময়ে এমন একজন ইসলামী চিন্তাবিদকে তার দ্বীনি খেদমত থেকে বিরত রাখা স্বাভাবিক পরিবেশকে বিঘ্ন করবে। আমরা আরো লক্ষ্য করছি যে, খতিব সাহেবের ভক্ত-অনুরক্ত ব্যক্তিবর্গের বাসা বাড়ীতে গিয়ে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে যা অত্যন্ত নিন্দীয়। আমরা এমন আচরণের পরিবর্তে পারস্পারিক সহনশীলতার সাথে সহাবস্থানের মাধ্যমে সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করছি।