ঢাকা ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

বিদেশি দূতাবাসগুলোতে বিএনপির চিঠি, যা আছে তাতে

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনা থেকে শুরু করে চলমান হরতাল-অবরোধে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, বিস্ফোরণ এবং গুপ্তহত্যার বিবরণ তুলে ধরে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।

গতকাল সোমবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনে চিঠি দিয়েছে তারা।

বিএনপি বলছে, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাবে না তারা। বরং রাজপথের আন্দোলন কর্মসূচি জোরদারের পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে তারা। এছাড়া কূটনীতিকদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছে।

চিঠিতে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অগ্নিসংযোগ ও সংঘাত নিয়ে ক্ষমতাসীন দলকে দায়ী করে বিস্তারিত বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘চলমান গুম, খুন এবং সহিংসতার’ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে দলটি।

এতে বলা হয়েছে, সারাদেশে ‘অগ্নিসন্ত্রাস-নাশকতা’র ঘটনা ক্ষমতাসীনরাই ঘটাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে ভীতির রাজত্ব কায়েমের অশুভ উদ্দেশ্যে প্রতিদিন নৈরাজ্যে লিপ্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতকারী কর্মীরা। তারা গণপরিবহনে অব্যাহতভাবে অগ্নিসংযোগ করছে আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও করে অপরাধীরা খুব সহজে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েছে। অথচ প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে অধিকাংশ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে বা বড় পুলিশ চেকপোস্টের কাছাকাছি ঘটছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রতিরোধে কিংবা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা প্রমাণ করে, দেশজুড়ে চলমান নাশকতায় ক্ষমতাসীন অপশক্তি জড়িত। প্রকৃতপক্ষে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও তাদের আজ্ঞাবাহী পুলিশ সদস্যরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে চালক বা তাদের সহকারীদের বক্তব্যে স্পষ্ট- কীভাবে পুলিশ বা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা তাদের বাসে আগুন দেওয়ার জন্য দায়ী।

উদাহরণ হিসেবে চিঠিতে গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের চাতরি চৌমহনী বাজারে পুলিশ বক্সের কাছে, ৩১ অক্টোবর ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কাছে, বাংলামোটর মোড়ে, ২৮ অক্টোবর কাকরাইলের কাছে বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা এবং ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে একটি ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ফেনীর স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুরুল উদ্দিন টিপুকে হাতেনাতে গ্রেফতা ও ১৪ নভেম্বর নাটোরের তাশরীক জামান রিফাত নামে আওয়ামী লীগের কর্মীকে মুখোশসহ গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা তুলে ধরা হয়।

বিএনপি বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল থেকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। দেশের বিশিষ্টজনরাও বলছেন, প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচনে না এলে তা অংশগ্রহণমূলক হবে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

বিদেশি দূতাবাসগুলোতে বিএনপির চিঠি, যা আছে তাতে

আপডেট সময় ০৩:১৪:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনা থেকে শুরু করে চলমান হরতাল-অবরোধে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, বিস্ফোরণ এবং গুপ্তহত্যার বিবরণ তুলে ধরে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।

গতকাল সোমবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনে চিঠি দিয়েছে তারা।

বিএনপি বলছে, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাবে না তারা। বরং রাজপথের আন্দোলন কর্মসূচি জোরদারের পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে তারা। এছাড়া কূটনীতিকদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছে।

চিঠিতে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অগ্নিসংযোগ ও সংঘাত নিয়ে ক্ষমতাসীন দলকে দায়ী করে বিস্তারিত বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘চলমান গুম, খুন এবং সহিংসতার’ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে দলটি।

এতে বলা হয়েছে, সারাদেশে ‘অগ্নিসন্ত্রাস-নাশকতা’র ঘটনা ক্ষমতাসীনরাই ঘটাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে ভীতির রাজত্ব কায়েমের অশুভ উদ্দেশ্যে প্রতিদিন নৈরাজ্যে লিপ্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতকারী কর্মীরা। তারা গণপরিবহনে অব্যাহতভাবে অগ্নিসংযোগ করছে আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও করে অপরাধীরা খুব সহজে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েছে। অথচ প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে অধিকাংশ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে বা বড় পুলিশ চেকপোস্টের কাছাকাছি ঘটছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রতিরোধে কিংবা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা প্রমাণ করে, দেশজুড়ে চলমান নাশকতায় ক্ষমতাসীন অপশক্তি জড়িত। প্রকৃতপক্ষে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও তাদের আজ্ঞাবাহী পুলিশ সদস্যরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে চালক বা তাদের সহকারীদের বক্তব্যে স্পষ্ট- কীভাবে পুলিশ বা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা তাদের বাসে আগুন দেওয়ার জন্য দায়ী।

উদাহরণ হিসেবে চিঠিতে গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের চাতরি চৌমহনী বাজারে পুলিশ বক্সের কাছে, ৩১ অক্টোবর ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কাছে, বাংলামোটর মোড়ে, ২৮ অক্টোবর কাকরাইলের কাছে বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা এবং ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে একটি ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ফেনীর স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুরুল উদ্দিন টিপুকে হাতেনাতে গ্রেফতা ও ১৪ নভেম্বর নাটোরের তাশরীক জামান রিফাত নামে আওয়ামী লীগের কর্মীকে মুখোশসহ গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা তুলে ধরা হয়।

বিএনপি বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল থেকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। দেশের বিশিষ্টজনরাও বলছেন, প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচনে না এলে তা অংশগ্রহণমূলক হবে না।