ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পাকিস্তান ও ইরানের সেনাপ্রধানের ফোনালাপ,অতঃপর

দু’দেশের সীমান্ত সুরক্ষা ও সন্ত্রাসবাদ দমনে যৌথ প্রচেষ্টা জোরদারের অঙ্গীকার করেছেন পাকিস্তান ও ইরানের সেনাপ্রধান। ইসলামাবাদে ইরানি দূতাবাস এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ও ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ (সিজিএসএএফ) মেজর জেনারেল আবদুররহিম মুসাভি এক টেলিফোন আলোচনায় এই প্রতিশ্রুতি দেন।

দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইরানি সিজিএসএএফ মেজর জেনারেল আবদুররহিম মুসাভি ও পাক সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের মধ্যে টেলিফোনালাপে উভয় পক্ষ সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে প্রস্তুতি ব্যক্ত করেছে।”

তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, আলোচনায় দুই সামরিক প্রধান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন। এ সময় মুসাভি ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে পাকিস্তানের তেহরানকে সমর্থনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ইসলামাবাদ সফরের কয়েকদিন পর ফোনালাপ করলেন দুই দেশের সেনাপ্রধান। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে দুই প্রতিবেশী দেশ সীমান্তে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম জোরদার করে যৌথভাবে সীমান্ত সুরক্ষার ব্যাপারে একমত হয়েছিল।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ-কে মুসাভি বলেছেন, ইরান সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে প্রস্তুত রয়েছে। এজন্য পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টার প্রয়োজন। একই সুরে আসিম মুনির বলেন, পাকিস্তান-ইরান সীমান্তকে “ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সীমান্তে রূপান্তর করতে হবে।”

এর আগে মে মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দুই দিনের সফরে তেহরান গিয়েছিলেন। ওই সফরের উদ্দেশ্য ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর প্রতি ভারতের সঙ্গে সংঘাতকালে সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানানো। সফরকালে তিনি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ি ও প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

জাবির সহকারী প্রক্টরকে সম্মাননা জানালো Traditional She

পাকিস্তান ও ইরানের সেনাপ্রধানের ফোনালাপ,অতঃপর

আপডেট সময় ১১:১৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

দু’দেশের সীমান্ত সুরক্ষা ও সন্ত্রাসবাদ দমনে যৌথ প্রচেষ্টা জোরদারের অঙ্গীকার করেছেন পাকিস্তান ও ইরানের সেনাপ্রধান। ইসলামাবাদে ইরানি দূতাবাস এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ও ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ (সিজিএসএএফ) মেজর জেনারেল আবদুররহিম মুসাভি এক টেলিফোন আলোচনায় এই প্রতিশ্রুতি দেন।

দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইরানি সিজিএসএএফ মেজর জেনারেল আবদুররহিম মুসাভি ও পাক সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের মধ্যে টেলিফোনালাপে উভয় পক্ষ সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে প্রস্তুতি ব্যক্ত করেছে।”

তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, আলোচনায় দুই সামরিক প্রধান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন। এ সময় মুসাভি ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে পাকিস্তানের তেহরানকে সমর্থনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ইসলামাবাদ সফরের কয়েকদিন পর ফোনালাপ করলেন দুই দেশের সেনাপ্রধান। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে দুই প্রতিবেশী দেশ সীমান্তে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম জোরদার করে যৌথভাবে সীমান্ত সুরক্ষার ব্যাপারে একমত হয়েছিল।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ-কে মুসাভি বলেছেন, ইরান সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে প্রস্তুত রয়েছে। এজন্য পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টার প্রয়োজন। একই সুরে আসিম মুনির বলেন, পাকিস্তান-ইরান সীমান্তকে “ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সীমান্তে রূপান্তর করতে হবে।”

এর আগে মে মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দুই দিনের সফরে তেহরান গিয়েছিলেন। ওই সফরের উদ্দেশ্য ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর প্রতি ভারতের সঙ্গে সংঘাতকালে সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানানো। সফরকালে তিনি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ি ও প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গেও বৈঠক করেন।