ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কোরআন ছুঁয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে আ.লীগ নেত্রীকে রক্ষার আশ্বাস বিএনপি নেতার Logo ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন Logo ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে- ড. ইফতেখারুজ্জামান Logo পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল,নিহত ২ Logo ৮০ টাকার নিচে কোনও সবজি নেই ,বেড়েছে ডিমের দাম Logo উত্তাল ফ্রান্স, রাস্তায় লক্ষাধিক মানুষ Logo শুরু হয়েছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি, শেষ হবে দুপুর ১২টায় Logo নওগাঁয় ভুয়া ৪ পুলিশ সদস্যসহ গ্রেফতার ৬ Logo শেখ হাসিনা পালানোর সময় শেখ রেহানা ও সালমান এফ রহমান কথোপকথন Logo এবি পার্টি থেকে জামায়াতে যোগ দিলেন ৪০ নেতাকর্মী

মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে হোস্টেল ফি কমানোর দাবিতে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি

মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের হোস্টেল ও ব্যবস্থাপনার অতিরিক্ত ফি কমিয়ে শিক্ষার্থীদের সাধ্যের আলোকে নিয়ে আসা প্রসঙ্গে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ শাখা।

সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে প্রিন্সিপাল কক্ষে ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সভাপতি মো. আরাফাত আহমদ ও সেক্রেটারি সুমন আহমেদের যৌথ স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২১ জুলাই, ২০২৫ খ্রি. এক নোটিশ এর মাধ্যমে জানানো হয় কলেজ হোস্টেল ফি ও ব্যবস্থাপনা ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পূর্বে মাসিক সিট রেন্ট ৫০০ টাকা ও ব্যবস্থাপনা ফি ৩০০০ টাকা ছিলো যা বাড়িয়ে সিট রেন্ট ৭০০ টাকা এবং ব্যবস্থাপনা ফি বাবদ ৪০০০ টাকা করা হয়েছে। যে সিট রেন্ট ও ব্যবস্থাপনা ফি শিক্ষার্থীদের জন্য সংকুলান খুবই কষ্টসাধ্য। মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের। ক্যাম্পাসে দুইটি আবাসিক নারী হোস্টেল এবং একটি আবাসিক ছাত্র হোস্টেল রয়েছে। যদিও ছাত্র হোস্টেল একের অধিক প্রয়োজন তার বদলে একটি হোস্টেল রয়েছে। এখানে কিছু ছাত্র মেসে না উঠে কষ্ট করে বা ঋণধার করে সিট রেন্ট এবং ব্যবস্থপনা ফি বাবদ একত্রে ৯০০০ টাকা দিয়ে উঠছে। প্রতি বছর আমরা পত্রিকায় দেখি শিক্ষার্থীরা ধারদেনা, বাড়ির গবাদিপশু, টিউশনি, জমি ইত্যাদি বিক্রি করে কলেজ আবেদন ফি, ভর্তি ফি ও হোস্টেল ফি’র ব্যয় সংকুলান করে থাকে। এমতাবস্থায়, যদি হোস্টেলের সিট রেন্ট ও ব্যবস্থপনা ফি অতিরিক্ত বৃদ্ধি করা হয় তাহলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের উপর এক জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া জুলুম বলে মনে করছি।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ প্রফেসর মনসুর আলমগীর শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আশ্বস্ত করে জানান, “আমরা অবশ্যই এটা পরবর্তী কাউন্সিল মিটিংয়ে আলোচনা করব এবং আমি চেষ্টা করব যাতে দ্রুত এর একটি সমাধান বের করা যায়।”

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অযৌক্তিক হারে হোস্টেল ফি বৃদ্ধি শিক্ষার্থীদের উপর অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করছে। তাই দ্রুত ফি কমানোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

কোরআন ছুঁয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে আ.লীগ নেত্রীকে রক্ষার আশ্বাস বিএনপি নেতার

মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে হোস্টেল ফি কমানোর দাবিতে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি

আপডেট সময় ০১:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের হোস্টেল ও ব্যবস্থাপনার অতিরিক্ত ফি কমিয়ে শিক্ষার্থীদের সাধ্যের আলোকে নিয়ে আসা প্রসঙ্গে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ শাখা।

সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে প্রিন্সিপাল কক্ষে ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সভাপতি মো. আরাফাত আহমদ ও সেক্রেটারি সুমন আহমেদের যৌথ স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২১ জুলাই, ২০২৫ খ্রি. এক নোটিশ এর মাধ্যমে জানানো হয় কলেজ হোস্টেল ফি ও ব্যবস্থাপনা ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পূর্বে মাসিক সিট রেন্ট ৫০০ টাকা ও ব্যবস্থাপনা ফি ৩০০০ টাকা ছিলো যা বাড়িয়ে সিট রেন্ট ৭০০ টাকা এবং ব্যবস্থাপনা ফি বাবদ ৪০০০ টাকা করা হয়েছে। যে সিট রেন্ট ও ব্যবস্থাপনা ফি শিক্ষার্থীদের জন্য সংকুলান খুবই কষ্টসাধ্য। মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের। ক্যাম্পাসে দুইটি আবাসিক নারী হোস্টেল এবং একটি আবাসিক ছাত্র হোস্টেল রয়েছে। যদিও ছাত্র হোস্টেল একের অধিক প্রয়োজন তার বদলে একটি হোস্টেল রয়েছে। এখানে কিছু ছাত্র মেসে না উঠে কষ্ট করে বা ঋণধার করে সিট রেন্ট এবং ব্যবস্থপনা ফি বাবদ একত্রে ৯০০০ টাকা দিয়ে উঠছে। প্রতি বছর আমরা পত্রিকায় দেখি শিক্ষার্থীরা ধারদেনা, বাড়ির গবাদিপশু, টিউশনি, জমি ইত্যাদি বিক্রি করে কলেজ আবেদন ফি, ভর্তি ফি ও হোস্টেল ফি’র ব্যয় সংকুলান করে থাকে। এমতাবস্থায়, যদি হোস্টেলের সিট রেন্ট ও ব্যবস্থপনা ফি অতিরিক্ত বৃদ্ধি করা হয় তাহলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের উপর এক জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া জুলুম বলে মনে করছি।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ প্রফেসর মনসুর আলমগীর শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আশ্বস্ত করে জানান, “আমরা অবশ্যই এটা পরবর্তী কাউন্সিল মিটিংয়ে আলোচনা করব এবং আমি চেষ্টা করব যাতে দ্রুত এর একটি সমাধান বের করা যায়।”

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অযৌক্তিক হারে হোস্টেল ফি বৃদ্ধি শিক্ষার্থীদের উপর অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করছে। তাই দ্রুত ফি কমানোর পদক্ষেপ নিতে হবে।