ঢাকা ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তারেক রহমান যেদিন দেশে আসবেন, জনতার ভূমিকম্প হবে: বরকতউল্লাহ বুলু Logo মানসিক ভারসাম্য হারিয়েও ভুলেনি কুরআনের আয়াত Logo কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির অভিযোগ বাক্সে ১০দিনে ৯ অভিযোগ Logo ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়া ২৫ লাখ ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার Logo রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ৭ দফা প্রস্তাব ঘোষণা ড. ইউনূসের Logo কুষ্টিয়া শহর জামায়াতের উদ্যোগে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদান Logo মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে হোস্টেল ফি কমানোর দাবিতে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি Logo টানা ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ জবি ভিসি , দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে শিক্ষার্থীরা Logo চট্টগ্রাম বন্দরে ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি Logo টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

চট্টগ্রাম বন্দরে ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি

প্রায় ৩৯ বছর পর মাশুল বাড়াতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। প্রস্তাবিত হার অনুযায়ী বন্দর সেবায় গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে বন্দর ব্যবহারকারীদের আপত্তির মুখে মাশুল বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে আবার পর্যালোচনায় বসছে মন্ত্রণালয়।

সোমবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দর ব্যবহারকারী আমদানি-রপ্তানিকারদের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯৮৬ সালের পর বন্দরের মাশুল বাড়ানো হচ্ছে। বর্ধিত মাশুল কার্যকর হওয়ার পরেও আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় মাশুল অনেক কম থাকবে।

 

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে বন্দর চেয়ারম্যান, সদস্যসহ (অর্থ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রস্তাবিত নতুন মাশুল গত ২৪ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে প্রস্তাবটি গেজেট আকারে প্রকাশের পর্যায়ে ছিল। গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই নতুন মাশুল কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বেশি আকারে নতুন মাশুল বাড়ানোর বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের আপত্তির মুখে পড়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

নতুন মাশুল কার্যকর হলে বন্দরের আয় বাড়বে গড়ে ৪১ শতাংশ। বন্দরের সব মাশুল নির্ধারিত হয় ডলারে। যে কারণে দেশে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি হলে তার সঙ্গে একইহারে মাশুলের পরিমাণ বাড়বে।

প্রস্তাবনা অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি মাশুল বাড়ানো হয়েছে কনটেইনার পরিবহনে। এতে প্রতি ২০ ফুটের কনটেইনারে গড়ে ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা মাশুল আদায় করে। নতুন হার কার্যকর হলে কনটেইনারপ্রতি বাড়তি দিতে হবে গড়ে চার হাজার ৩৯৫ টাকা। এতে আমদানি কনটেইনারে বাড়বে পাঁচ হাজার ৭২০ টাকা। রপ্তানি কনটেইনারে বাড়বে তিন হাজার ৪৫ টাকা। সব মিলিয়ে কনটেইনারপ্রতি গড়ে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা মাশুল দিতে হবে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত পরিচালক ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে। এতে রপ্তানিকারকরা চাপে আছেন। তার ওপর বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের মাশুল ৪১ শতাংশ বাড়ালে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এতে রপ্তানিকারকদের সক্ষমতা কমে যাবে। রপ্তানিকারকরা দুদিকে মাশুল গুনেন। রপ্তানির পণ্য তৈরির কাঁচামাল আমদানির সময় একবার মাশুল দিতে হয়। তৈরি পণ্য রপ্তানির সময় আরেকবার মাশুল দিতে হবে।

 

রেজা

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমান যেদিন দেশে আসবেন, জনতার ভূমিকম্প হবে: বরকতউল্লাহ বুলু

চট্টগ্রাম বন্দরে ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি

আপডেট সময় ১২:২১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

প্রায় ৩৯ বছর পর মাশুল বাড়াতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। প্রস্তাবিত হার অনুযায়ী বন্দর সেবায় গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে বন্দর ব্যবহারকারীদের আপত্তির মুখে মাশুল বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে আবার পর্যালোচনায় বসছে মন্ত্রণালয়।

সোমবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দর ব্যবহারকারী আমদানি-রপ্তানিকারদের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯৮৬ সালের পর বন্দরের মাশুল বাড়ানো হচ্ছে। বর্ধিত মাশুল কার্যকর হওয়ার পরেও আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় মাশুল অনেক কম থাকবে।

 

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে বন্দর চেয়ারম্যান, সদস্যসহ (অর্থ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রস্তাবিত নতুন মাশুল গত ২৪ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে প্রস্তাবটি গেজেট আকারে প্রকাশের পর্যায়ে ছিল। গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই নতুন মাশুল কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বেশি আকারে নতুন মাশুল বাড়ানোর বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের আপত্তির মুখে পড়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

নতুন মাশুল কার্যকর হলে বন্দরের আয় বাড়বে গড়ে ৪১ শতাংশ। বন্দরের সব মাশুল নির্ধারিত হয় ডলারে। যে কারণে দেশে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি হলে তার সঙ্গে একইহারে মাশুলের পরিমাণ বাড়বে।

প্রস্তাবনা অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি মাশুল বাড়ানো হয়েছে কনটেইনার পরিবহনে। এতে প্রতি ২০ ফুটের কনটেইনারে গড়ে ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা মাশুল আদায় করে। নতুন হার কার্যকর হলে কনটেইনারপ্রতি বাড়তি দিতে হবে গড়ে চার হাজার ৩৯৫ টাকা। এতে আমদানি কনটেইনারে বাড়বে পাঁচ হাজার ৭২০ টাকা। রপ্তানি কনটেইনারে বাড়বে তিন হাজার ৪৫ টাকা। সব মিলিয়ে কনটেইনারপ্রতি গড়ে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা মাশুল দিতে হবে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত পরিচালক ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে। এতে রপ্তানিকারকরা চাপে আছেন। তার ওপর বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের মাশুল ৪১ শতাংশ বাড়ালে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এতে রপ্তানিকারকদের সক্ষমতা কমে যাবে। রপ্তানিকারকরা দুদিকে মাশুল গুনেন। রপ্তানির পণ্য তৈরির কাঁচামাল আমদানির সময় একবার মাশুল দিতে হয়। তৈরি পণ্য রপ্তানির সময় আরেকবার মাশুল দিতে হবে।

 

রেজা