সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে মসজিদ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) নগরের সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম জেলা ওয়াকফ বিষয়ক সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রচারিত সংবাদ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সীতাকুণ্ড প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চন্দ্রনাথ পাহাড় দেশের একটি ঐতিহাসিক ও ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
এখানে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই এ পাহাড়ে নতুন করে কোনো মসজিদ নির্মাণের প্রশ্নই ওঠে না। মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ওয়াকফ সম্পত্তি সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশের সর্বত্র অবস্থিত ওয়াকফ সম্পত্তি সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য ওয়াকফ প্রশাসন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি নানা অনিয়ম ও দখলদারিত্ব রোধে নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তি জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহারের জন্য সরকার নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, ওয়াকফ সম্পত্তি ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন, ভাড়া ও ইজারা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, অবৈধ দখলমুক্ত করা এবং আয় বৃদ্ধি করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মসজিদ-মাদ্রাসা উন্নয়নসহ সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয় নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তি মুসলিম সমাজের আধ্যাত্মিক, শিক্ষামূলক ও কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সম্পত্তি রক্ষা করা আমাদের সামাজিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব।
তিনি জানান, সারাদেশে প্রায় ২ লাখ ৫৭ হাজার ৪০০ একর ওয়াকফ এর জায়গা বেদখলে রয়েছে। এগুলো উদ্ধার করে সমাজের ভাল কাজে ব্যবহার করতে হবে।
সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।