ঢাকা ০১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টানা ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ জবি ভিসি , দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে শিক্ষার্থীরা Logo চট্টগ্রাম বন্দরে ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি Logo টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ Logo চট্টগ্রামে হোটেল সৈকতের রেস্তোরাঁয় আগুন Logo রোহিঙ্গাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo চন্দ্রনাথ পাহাড়ে মসজিদ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি: ধর্ম উপদেষ্টা Logo দুই আ‘মীলীগের চেয়ারম্যান নিয়ে বিএনপি নেতার সমাবেশ,ছবি ভাইরাল Logo দাড়ি রাখতে অনুমতি না নেওয়ায় তিন পুলিশ সদস্যের শাস্তির চিঠি ভাইরাল Logo আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে বলে মনে হচ্ছে না: নাহিদ ইসলাম Logo ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ৯৭ সংগঠনের যৌথ বিবৃতি

দুই আ‘মীলীগের চেয়ারম্যান নিয়ে বিএনপি নেতার সমাবেশ,ছবি ভাইরাল

পঞ্চগড়ের বোদায় দুই পাশে আওয়ামী লীগ নেতা নিয়ে সমাবেশ করেছেন বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা। গত শনিবার উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের মেনাগ্রামে কর্মসূচিটি পালন করা হয়। সমাবেশের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।

বিষয়টি নিয়ে গতকাল রোববার উত্তাল ছিল পুরো জেলার রাজনৈতিক অঙ্গন। ত্যাগী ও সক্রিয়া নেতাদের উপেক্ষা করে জুলাই বিপ্লবে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের নেতাদের পুনর্বাসনের তৎপরতায় ফুঁসে উঠছেন দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

সূত্রে জানা যায়, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা সভাপতি ফরহাদ হোসেন আজাদ। এরই অংশ হিসেবে শনিবার তিনি উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের মেনাগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে সমাবেশ করেন। তার অর্থায়নে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব জাগরণে সনাতন সম্প্রদায়ের সমাবেশ নামে কর্মসূচিটি আয়োজনে সহায়তা করেন দুই আওয়ামী লীগ নেতা।

ছবিতে দেখা যায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ,তার বাঁ পাশে ছিলেন দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক নৌকা প্রতীকের ইউপি চেয়ারম্যান মণি ভূষণ রায় এবং ডানে ছিলেন বোদার পাঁচপীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও নৌকা প্রতীকের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান অজয় কুমার রায়।

স্থানীয়রা জানায়, মণি ভূষণ রায় ২০২১ সালে নৌকা প্রতীকে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের বহু অভিযোগ আছে। অন্যদিকে অজয় কুমার রায়কে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এবং বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম টবির ঘনিষ্ঠ হিসেবে চেনেন এলাকাবাসী।

এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলছেন, মাঠের রাজনীতিতে মতাদর্শের সীমানা ক্রমেই অস্পষ্ট হয়ে পড়ছে এবং বিএনপি নেতারা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতাকর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন।

হয়রানির শিকার হওয়ার ভয়ে বিএনপির তৃণমূলের কয়েক নেতাকর্মী বলেন, দেড় দশক হামলা-মামলা ও নির্যাতন সহ্য করলাম আমরা। আর এখন সুদিন ফিরে আসায় টাকার বিনিময়ে পুনর্বাসন করা হচ্ছে ফ্যাসিবাদের দোসর ও জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারীদের। এতে তৃণমূলে নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে, ভোটার বাড়ার পরিবর্তে কমেও যেতে পারে।

অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা ফরহাদ বলেন, অনুষ্ঠানটি বিএনপির কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। এটি এই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজার প্রস্তুতিসহ আগামী ২১ আগস্ট মহালয়া অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা ছিল। তাদের এই অনুষ্ঠানে আমি আমন্ত্রিত ছিলাম মাত্র। অনুষ্ঠানে কে কোন দলের মানুষ আমার পাশে বসল, এটা আমার দেখার বিষয় নয়। যারা আমার পাশে বসেছিলেন তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা। কোনো অপরাধের কারণে তারা অপরাধী হলে তাদের জন্য দেশে আইন আছে। তারা এক সময় আওয়ামী লীগ করেছেন, এখন তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

টানা ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ জবি ভিসি , দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে শিক্ষার্থীরা

দুই আ‘মীলীগের চেয়ারম্যান নিয়ে বিএনপি নেতার সমাবেশ,ছবি ভাইরাল

আপডেট সময় ১০:৩১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

পঞ্চগড়ের বোদায় দুই পাশে আওয়ামী লীগ নেতা নিয়ে সমাবেশ করেছেন বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা। গত শনিবার উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের মেনাগ্রামে কর্মসূচিটি পালন করা হয়। সমাবেশের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।

বিষয়টি নিয়ে গতকাল রোববার উত্তাল ছিল পুরো জেলার রাজনৈতিক অঙ্গন। ত্যাগী ও সক্রিয়া নেতাদের উপেক্ষা করে জুলাই বিপ্লবে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের নেতাদের পুনর্বাসনের তৎপরতায় ফুঁসে উঠছেন দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

সূত্রে জানা যায়, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা সভাপতি ফরহাদ হোসেন আজাদ। এরই অংশ হিসেবে শনিবার তিনি উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের মেনাগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে সমাবেশ করেন। তার অর্থায়নে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব জাগরণে সনাতন সম্প্রদায়ের সমাবেশ নামে কর্মসূচিটি আয়োজনে সহায়তা করেন দুই আওয়ামী লীগ নেতা।

ছবিতে দেখা যায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ,তার বাঁ পাশে ছিলেন দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক নৌকা প্রতীকের ইউপি চেয়ারম্যান মণি ভূষণ রায় এবং ডানে ছিলেন বোদার পাঁচপীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও নৌকা প্রতীকের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান অজয় কুমার রায়।

স্থানীয়রা জানায়, মণি ভূষণ রায় ২০২১ সালে নৌকা প্রতীকে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের বহু অভিযোগ আছে। অন্যদিকে অজয় কুমার রায়কে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এবং বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম টবির ঘনিষ্ঠ হিসেবে চেনেন এলাকাবাসী।

এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলছেন, মাঠের রাজনীতিতে মতাদর্শের সীমানা ক্রমেই অস্পষ্ট হয়ে পড়ছে এবং বিএনপি নেতারা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতাকর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন।

হয়রানির শিকার হওয়ার ভয়ে বিএনপির তৃণমূলের কয়েক নেতাকর্মী বলেন, দেড় দশক হামলা-মামলা ও নির্যাতন সহ্য করলাম আমরা। আর এখন সুদিন ফিরে আসায় টাকার বিনিময়ে পুনর্বাসন করা হচ্ছে ফ্যাসিবাদের দোসর ও জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারীদের। এতে তৃণমূলে নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে, ভোটার বাড়ার পরিবর্তে কমেও যেতে পারে।

অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা ফরহাদ বলেন, অনুষ্ঠানটি বিএনপির কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। এটি এই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজার প্রস্তুতিসহ আগামী ২১ আগস্ট মহালয়া অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা ছিল। তাদের এই অনুষ্ঠানে আমি আমন্ত্রিত ছিলাম মাত্র। অনুষ্ঠানে কে কোন দলের মানুষ আমার পাশে বসল, এটা আমার দেখার বিষয় নয়। যারা আমার পাশে বসেছিলেন তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা। কোনো অপরাধের কারণে তারা অপরাধী হলে তাদের জন্য দেশে আইন আছে। তারা এক সময় আওয়ামী লীগ করেছেন, এখন তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন।