ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আফগানদের বিদায়, বাংলাদেশকে নিয়েই সুপার ফোরে লঙ্কানরা Logo ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার Logo বড় সংগ্রহ আফগানদের, বাংলাদেশের সুপার ফোরের আশা ভাঙার পথে Logo কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি: মির্জা ফখরুল Logo নওগাঁয় ভুয়া ৪ পুলিশ সদস্যসহ গ্রেফতার ৬ Logo চাকসু নির্বাচনে “সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট” নামে ছাত্রশিবিরের পূর্নাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা Logo দুই দিনে ভারতে ৫৬.২৫ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি Logo ন্যাটোর হুমকির পর সামরিক পোশাকে যুদ্ধের ময়দানে পুতিন! Logo ফরিদপুরের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কিশোর-তরুণদের নাচানাচির ভিডিও ভাইরাল Logo বিজিবিতে চাকরি পেলেন বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর ভাই

শিবির জিতলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর আন্দোলনের সূতিকাগার থাকবে না : এম এ আজিজ

সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ বলেছেন, ঢাকসু নির্বাচনে কোনো কারণে ছাত্রদল না জিতে শিবির জিতলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর আন্দোলনের সূতিকাগার থাকবে না। কারণ ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে কেউ আন্দোলনে যাবে না। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র পালটে যাবে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এম এ আজিজ বলেছেন, ঢাকসু নির্বাচনে কোনো কারণে ছাত্রদল না জিতে শিবির জিতলে ঢাকা ইউনিভার্সিটি আর আন্দোলনের সূতিকাগার থাকবে না। কারণ ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে কেউ আন্দোলনে যাবে না। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র পালটে যাবে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ বলেছেন, ‘অনেকেই এই প্রশ্ন তুলছেন যে, যেখানে জাতীয় নির্বাচন সামনে, সেখানে এই টুকরা টুকরা নির্বাচন হওয়ার তো দরকার ছিল না। পরেও হতে পারত। আমরা দেখলাম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর যখন ভিসি মিটিং ডাকলেন তখন হঠাৎ করে একজন পরিচয় দিলেন তিনি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট। ইলেকশন হচ্ছে প্রকাশ্য রাজনীতির জন্য, গুপ্ত রাজনীতির জন্য নয়।

আপনি যে শিবির নন, তার গ্যারান্টি কী? আমরা তো জানি না কে শিবির, কে শিবির নয়।’
তিনি বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিষয়েও প্রশ্ন আছে। নইলে এই নির্বাচন তড়িঘড়ি করে আনলেন কেন? এখন তো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে কয়েকটি প্যানেল হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্যানেলও হয়েছে, ছাত্রদলও প্যানেল দিয়েছে। ছাত্রশিবিরও আলাদা প্যানেল দিয়েছে। এই নির্বাচনে কোনো সহিংসতা হলে জাতীয় নির্বাচনে অবশ্যই কিছুটা প্রভাব ফেলবেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটা জায়গায় সীমাবদ্ধ। জাতীয় নির্বাচন একদম সম্পূর্ণ আলাদা।

কিছু তো হবেই। কারণ ঢাকা ইউনিভার্সিটি সকল আন্দোলনের সূতিকাগার। এখন কোনো কারণে ছাত্রদল না জিতে যদি শিবির জেতে এই ঢাকা ইউনিভার্সিটি কিন্তু আর আন্দোলনের সূতিকাগার থাকবে না। কারণ ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে কেউ আন্দোলনে যাবে না। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র পাল্টায় যাবে।’

এম এ আজিজ বলেন, ‘যেখানে যেখানে বিএনপির প্রার্থী আছে, বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী—সব জায়গায় জামায়াতের লোকদের বসানো হয়েছে। এই দেশে যদি জামায়াত ক্ষমতায় আসে কোনোদিন, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ থাকবে না।’

জনপ্রিয় সংবাদ

আফগানদের বিদায়, বাংলাদেশকে নিয়েই সুপার ফোরে লঙ্কানরা

শিবির জিতলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর আন্দোলনের সূতিকাগার থাকবে না : এম এ আজিজ

আপডেট সময় ১০:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ বলেছেন, ঢাকসু নির্বাচনে কোনো কারণে ছাত্রদল না জিতে শিবির জিতলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর আন্দোলনের সূতিকাগার থাকবে না। কারণ ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে কেউ আন্দোলনে যাবে না। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র পালটে যাবে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এম এ আজিজ বলেছেন, ঢাকসু নির্বাচনে কোনো কারণে ছাত্রদল না জিতে শিবির জিতলে ঢাকা ইউনিভার্সিটি আর আন্দোলনের সূতিকাগার থাকবে না। কারণ ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে কেউ আন্দোলনে যাবে না। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র পালটে যাবে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ বলেছেন, ‘অনেকেই এই প্রশ্ন তুলছেন যে, যেখানে জাতীয় নির্বাচন সামনে, সেখানে এই টুকরা টুকরা নির্বাচন হওয়ার তো দরকার ছিল না। পরেও হতে পারত। আমরা দেখলাম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর যখন ভিসি মিটিং ডাকলেন তখন হঠাৎ করে একজন পরিচয় দিলেন তিনি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট। ইলেকশন হচ্ছে প্রকাশ্য রাজনীতির জন্য, গুপ্ত রাজনীতির জন্য নয়।

আপনি যে শিবির নন, তার গ্যারান্টি কী? আমরা তো জানি না কে শিবির, কে শিবির নয়।’
তিনি বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিষয়েও প্রশ্ন আছে। নইলে এই নির্বাচন তড়িঘড়ি করে আনলেন কেন? এখন তো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে কয়েকটি প্যানেল হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্যানেলও হয়েছে, ছাত্রদলও প্যানেল দিয়েছে। ছাত্রশিবিরও আলাদা প্যানেল দিয়েছে। এই নির্বাচনে কোনো সহিংসতা হলে জাতীয় নির্বাচনে অবশ্যই কিছুটা প্রভাব ফেলবেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটা জায়গায় সীমাবদ্ধ। জাতীয় নির্বাচন একদম সম্পূর্ণ আলাদা।

কিছু তো হবেই। কারণ ঢাকা ইউনিভার্সিটি সকল আন্দোলনের সূতিকাগার। এখন কোনো কারণে ছাত্রদল না জিতে যদি শিবির জেতে এই ঢাকা ইউনিভার্সিটি কিন্তু আর আন্দোলনের সূতিকাগার থাকবে না। কারণ ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে কেউ আন্দোলনে যাবে না। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র পাল্টায় যাবে।’

এম এ আজিজ বলেন, ‘যেখানে যেখানে বিএনপির প্রার্থী আছে, বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী—সব জায়গায় জামায়াতের লোকদের বসানো হয়েছে। এই দেশে যদি জামায়াত ক্ষমতায় আসে কোনোদিন, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ থাকবে না।’