ঢাকা ১০:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাতে ব্যালট বক্সের সাথে ছাত্রদল নেতা, সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট Logo চলছে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ , চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত Logo জাকসু নির্বাচন : নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতে নির্বাচন কমিশনে বিএনপি নেতারা Logo জাবির বিপ্লবী শিক্ষার্থীরা সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত: জাহিদুল ইসলাম Logo আল আজাহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি পরিক্ষায় প্রথমস্থান অর্জন করেছে মুন্সিগঞ্জের শিহাব Logo আজ কখন বজ্রবৃষ্টি ঢাকায়,জানাল আবহাওয়া অফিস Logo শ্রীমঙ্গলে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চোরাচালানের পণ্যসহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo জাতীয় নির্বাচনে তিন হাজার ভোটারের জন্য থাকবে একটি কেন্দ্র Logo দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসুতে ভোট আজ Logo সেন্টমার্টিন থেকে ৪০ বাংলাদেশী জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

কলকাতায় ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর

ভারতে আবারও অপমান-হেনস্তার শিকার হলেন বাংলাভাষীরা। ‘বাংলাদেশি’ তকমা গায়ে জড়িয়ে বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে মারধরের শিকার হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র। আর ঘটনাটি ঘটেছে বাংলা অধ্যুষিত কলকাতার শিয়ালদহ ব্রিজের কাছে। হিন্দিভাষী এক দোকানদার তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও হামলা চালান বলে অভিযোগ দুই যুবকের।

ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র মোবাইলের সরঞ্জাম কিনতে গিয়েছিলেন। দর-কষাকষির একপর্যায়ে দোকানদারের সঙ্গে তর্ক বাঁধে। তখনই তিনি বাংলাভাষী ছাত্রদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাংলাদেশি বলব, কী করবি?’ এরপর শুরু হয় হাতাহাতি। অভিযোগ অনুযায়ী, মোবাইলও ছিনিয়ে নিয়ে এক ছাত্রকে আটকেও রাখা হয়েছিল।

মারধরের শিকার এক ছাত্র বলেন, ‘বাংলা বললেই বাংলাদেশি বলে গালি দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করায় আমাদের মারধর করা হলো, এমনকি ছুরি-বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে।’ ঘটনার পর কয়েকজন আহত হন এবং তাদের মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে।

কলকাতায় এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক নেতারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাংলাপক্ষ নেতা গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গুজরাটে মার খাই, রাজস্থানে মার খাই, এখন কি তবে কলকাতাতেও? এখানে বিজেপি নেই, তবুও অপরাধীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না কেন?’

বিজেপি নেতা সজল ঘোষ মন্তব্য করেন, ‘শিয়ালদহ তো কলকাতার প্রবেশদ্বার। সেখানেই যদি বাংলাদেশি বলে মারধর হয়, তবে তদন্ত হওয়া জরুরি।’ আর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আগে ভিন রাজ্যে এমন হতো, এখন বাংলাতেই হচ্ছে।

এই পরিবেশকে উসকে দেওয়া হচ্ছে ওপর মহল থেকেই।’ কলকাতায় ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে এভাবে বাঙালি যুবকদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে অঞ্চলের সাধারণ মানুষও।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

রাতে ব্যালট বক্সের সাথে ছাত্রদল নেতা, সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট

কলকাতায় ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর

আপডেট সময় ১০:১৯:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

ভারতে আবারও অপমান-হেনস্তার শিকার হলেন বাংলাভাষীরা। ‘বাংলাদেশি’ তকমা গায়ে জড়িয়ে বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে মারধরের শিকার হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র। আর ঘটনাটি ঘটেছে বাংলা অধ্যুষিত কলকাতার শিয়ালদহ ব্রিজের কাছে। হিন্দিভাষী এক দোকানদার তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও হামলা চালান বলে অভিযোগ দুই যুবকের।

ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র মোবাইলের সরঞ্জাম কিনতে গিয়েছিলেন। দর-কষাকষির একপর্যায়ে দোকানদারের সঙ্গে তর্ক বাঁধে। তখনই তিনি বাংলাভাষী ছাত্রদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাংলাদেশি বলব, কী করবি?’ এরপর শুরু হয় হাতাহাতি। অভিযোগ অনুযায়ী, মোবাইলও ছিনিয়ে নিয়ে এক ছাত্রকে আটকেও রাখা হয়েছিল।

মারধরের শিকার এক ছাত্র বলেন, ‘বাংলা বললেই বাংলাদেশি বলে গালি দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করায় আমাদের মারধর করা হলো, এমনকি ছুরি-বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে।’ ঘটনার পর কয়েকজন আহত হন এবং তাদের মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে।

কলকাতায় এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক নেতারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাংলাপক্ষ নেতা গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গুজরাটে মার খাই, রাজস্থানে মার খাই, এখন কি তবে কলকাতাতেও? এখানে বিজেপি নেই, তবুও অপরাধীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না কেন?’

বিজেপি নেতা সজল ঘোষ মন্তব্য করেন, ‘শিয়ালদহ তো কলকাতার প্রবেশদ্বার। সেখানেই যদি বাংলাদেশি বলে মারধর হয়, তবে তদন্ত হওয়া জরুরি।’ আর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আগে ভিন রাজ্যে এমন হতো, এখন বাংলাতেই হচ্ছে।

এই পরিবেশকে উসকে দেওয়া হচ্ছে ওপর মহল থেকেই।’ কলকাতায় ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে এভাবে বাঙালি যুবকদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে অঞ্চলের সাধারণ মানুষও।