ঢাকা ১০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘জামায়াতে ইসলামী সরকারি দল হবে, বিরোধী দলে যেতে হবে বিএনপিকে’ Logo ভোজ্যতেলের দাম আরো বাড়াতে চায় কোম্পানিগুলো Logo লক্ষ্মীপুরে অবৈধভাবে মজুত রাখা ৩০ টন ইউরিয়া সার জব্দ Logo ভোজ্যতেলের দাম আরো বাড়াতে চায় কোম্পানিগুলো Logo গোলাপগঞ্জে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করলেন জামায়াত নেতা Logo ইসরায়েল থেকে অত্যাধুনিক ‘হেরনে ট্যাঙ্ক’ ড্রোন কিনছে ভারত Logo প্যানেলে যায়গা হয়নি, স্বতন্ত্র দাড়িয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ নেতা ছাত্রদলের মামুন Logo বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে যুবক আটক Logo সেনা সুরক্ষা ছেড়ে প্রকাশ্যে এলেন নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওলি Logo চাঁদে নিজের নাম পাঠানোর সুযোগ দিচ্ছে নাসা, অংশ নেবেন যেভাবে

নিউজ কাভারে পুলিশি বাধা, লকাবে সাংবাদিক

চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার সামনে বুধবার সকাল থেকে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এসময় তারা সড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বিঘ্ন হয়।

শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিনের বেতন না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে তার চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তারা দ্রুত বকেয়া পরিশোধের দাবি জানান এবং সময়মতো দাবি না মানলে কর্মবিরতি ও অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের ঘোষণা দেন। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর চড়াও হয়।

এ সময় সংবাদ সংগ্রহে থাকা যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি শাহেদুল ইসলাম মাসুম ও আজকের পত্রিকার আব্দুল কাইয়ুম ভিডিও ধারণ করতে গেলে ডবলমুরিং থানার ওসি বাবুল আজাদ তাদের বাঁধা দেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সাংবাদিকদের মোবাইল ও বুম কেড়ে নেন এবং সংবাদ সংগ্রহে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিক মাসুমকে প্রায় ২০ মিনিট ধরে থানার লকাপে আটক রাখা হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগি মাসুম বলেন, আমরা শুধু শ্রমিক আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওসি বিনা কারণে আমাদের বাঁধা দেন এবং আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে লকাপে আটকে রাখেন। সাংবাদিককে এভাবে হেনস্থা করা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। পরে বিষয়টি সহকর্মীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সিএমপি পশ্চিম বিভাগের ডিসি কবির ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের লকাপ থেকে মুক্ত করেন। তবে এ বিষয়ে ওসি বাবুল আজাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে সংবাদ সংগ্রহ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

সাংবাদিককে কেবল প্রশ্ন করা বা সংবাদ কাভারের কারণে আটক করা অবৈধ আটক (ইলিগেল ডিটেনশন) হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া টরচার অ্যান্ড কাস্টডিয়াল ডেথ (প্রিভেনশন) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী বিনা অপরাধে থানার লকাপে রাখা বেআইনি এবং এটি ক্ষমতার অপব্যবহার।

এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনগুলো। তারা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘জামায়াতে ইসলামী সরকারি দল হবে, বিরোধী দলে যেতে হবে বিএনপিকে’

নিউজ কাভারে পুলিশি বাধা, লকাবে সাংবাদিক

আপডেট সময় ০৩:৩২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার সামনে বুধবার সকাল থেকে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এসময় তারা সড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বিঘ্ন হয়।

শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিনের বেতন না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে তার চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তারা দ্রুত বকেয়া পরিশোধের দাবি জানান এবং সময়মতো দাবি না মানলে কর্মবিরতি ও অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের ঘোষণা দেন। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর চড়াও হয়।

এ সময় সংবাদ সংগ্রহে থাকা যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি শাহেদুল ইসলাম মাসুম ও আজকের পত্রিকার আব্দুল কাইয়ুম ভিডিও ধারণ করতে গেলে ডবলমুরিং থানার ওসি বাবুল আজাদ তাদের বাঁধা দেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সাংবাদিকদের মোবাইল ও বুম কেড়ে নেন এবং সংবাদ সংগ্রহে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিক মাসুমকে প্রায় ২০ মিনিট ধরে থানার লকাপে আটক রাখা হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগি মাসুম বলেন, আমরা শুধু শ্রমিক আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওসি বিনা কারণে আমাদের বাঁধা দেন এবং আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে লকাপে আটকে রাখেন। সাংবাদিককে এভাবে হেনস্থা করা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। পরে বিষয়টি সহকর্মীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সিএমপি পশ্চিম বিভাগের ডিসি কবির ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের লকাপ থেকে মুক্ত করেন। তবে এ বিষয়ে ওসি বাবুল আজাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে সংবাদ সংগ্রহ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

সাংবাদিককে কেবল প্রশ্ন করা বা সংবাদ কাভারের কারণে আটক করা অবৈধ আটক (ইলিগেল ডিটেনশন) হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া টরচার অ্যান্ড কাস্টডিয়াল ডেথ (প্রিভেনশন) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী বিনা অপরাধে থানার লকাপে রাখা বেআইনি এবং এটি ক্ষমতার অপব্যবহার।

এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনগুলো। তারা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে।