রাষ্ট্রপতিকে সম্মান না দেওয়া মানে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদকে অসম্মান করা— এমন মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল। তিনি বলেন, “যে উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতিকে সম্মান দেন না, তিনি আসলে বেয়াদব উপদেষ্টা।”
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাসুদ কামাল আরও বলেন, “রাষ্ট্রপতির চেয়ারে কে বসে আছেন— সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো রাষ্ট্রপতির চেয়ার, অর্থাৎ পদটিই। তাই এই পদকে অবমূল্যায়ন করা মানে রাষ্ট্রকেই অবমাননা করা।
আপনি যদি চেয়ারটাকে সম্মান না দেন তাহলে আপনার চেয়ার কাউকে সম্মান দেবে না। যে লোক বেয়াদব, বেয়াদবকে আমি সম্মান দেব কেন? আপনি তো বেয়াদব। আপনি মানতেছেন না রাষ্ট্রপতিকে। যে উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতিকে সম্মান দেন না, তিনি বেয়াদব উপদেষ্টা।
তাকে তো আমি মানব না এবং তাকে তো আমি সম্মান দেব না। আপনি যা করবেন, তা-ই পাবেন এবং এই দিন কিন্তু ঘনিয়ে আসছে। দেখেন আরো সামনের দিন, দেখেন না কী হয়?’ তিনি বলেন, ‘আপনি রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করাবেন কিভাবে? একটা নিয়ম তো লাগবে। রাষ্ট্রপতিকে ইমপিচমেন্ট করা যায়, সেটা করতে হবে সংসদে।
আপনার সংসদ এক্সিস করে না। তাকে আপনি কিভাবে আউট করবেন, একটা আউট করতে পারেন যদি উনি পদত্যাগ করেন। যদি উনি পদত্যাগ না করেন তাহলে কার কী মনে কী খায়েশ আছে, কে কী চান—এগুলো মূল্যহীন।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই কনসেপ্টটাই আমাদের সংবিধান স্বীকার করে না। এটা কিন্তু সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় একটা সরকার গঠিত হয়েছে বলে জুলাই ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে।
তাহলে আমি সংবিধানের আলোকে আলাপ করব। আমাদের সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই নেই। আচ্ছা ধরে নিলাম, এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, মানে তত্ত্বাবধয়ক সরকারের মতো কিছু একটা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ফরমেটটা, সেই ফরমেট যদি আপনি ধরেন তাহলে সেখানে এই উপদেষ্টা কার উপদেষ্টা—তিনি রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা। দেশ কিন্তু চালান রাষ্ট্রপতি—মানে তথ্যগতভাবে। এই উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেন, উপদেশ দেন—যে এভাবে চালান, এভাবে চালান। উনারা কিন্তু মন্ত্রী না কেউ, উপদেষ্টা। কিন্তু উনারা মানেন না, না মানার একটা প্রবণতা মাঝখানে আছে। তারা রাষ্ট্রপতিকে সম্মান দেন না।