ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ১০৪ সদস্য নিয়ে জাতিসংঘে পিকনিক করতে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা: মেজর হাফিজ Logo একটি মহল খাগড়াছড়িতে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo চবির ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়াই আমার লক্ষ্য: সাক্ষাৎকারে দ্বীপা Logo সুন্দরগঞ্জে দুর্গোৎসবে ২শ ৭০টি পরিবারের মাঝে জামায়াতের উপহার বিতরণ  Logo জাতীয় পার্টির রওশনপন্থী মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদ গ্রেপ্তার Logo সাবেক দুই এমপিসহ আ.লীগের ১৩ নেতাকর্মী আটক Logo খাগড়াছড়িতে চলমান অবরোধ কর্মসূচি শিথিলের ঘোষণা Logo খাগড়াছড়িতে চলমান অবরোধ কর্মসূচি শিথিলের ঘোষণা Logo চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ Logo টাঙ্গাইলে যুবদল নেতার নেতৃত্বে বসতবাড়িতে হামলা ভিডিও ভাইরাল

চবিতে চালু হচ্ছে ই-কার সেবা, উদ্বোধন আজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের যাতায়াতকে সহজ ও আধুনিক করতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ইলেকট্রিক কার (ই–কার)। যার উদ্বোধন হচ্ছে আজ।গতকাল সোমবার ক্যাম্পাসে প্রথম দফায় ৬টি গাড়ি আনা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের সেবার কার্যকারিতা অনুযায়ী ভবিষ্যতে গাড়ির সংখ্যা ধাপে ধাপে ৪০টিরও বেশি হবে। ই–কার সেবা পরিচালনা করছে গ্রীণ ফিউচার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কোম্পানি, আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখাশোনা করবে আইনশৃঙ্খলার বিষয়। আপাতত গাড়িগুলোর পার্কিং স্থাপন করা হয়েছে মেরিন সাইন্স অনুষদের পাশে, পরবর্তী সময়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্টেশন স্থাপন করা হবে।

ই–কার পরীক্ষামূলকভাবে দুটি রুটে চলবে। প্রথম রুটটি জিরোপয়েন্ট থেকে বায়োলোজিকাল ফ্যাকাল্টি পর্যন্ত, আর দ্বিতীয় রুট জিরোপয়েন্ট থেকে সোহরাওয়ার্দী মোড় হয়ে ২ নং গেট অতিক্রম করে আইন অনুষদ ও সোস্যাল সায়েন্স অনুষদ হয়ে ফের জিরোপয়েন্টে পৌঁছাবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা। গাড়ির চালক এবং ভাড়া সংগ্রাহক থাকবেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োজিত।

ই–কার চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীরা খুশি। শিক্ষার্থী বাঁধন মিয়া বলেন, আমাদের বহুদিনের দাবি পূরণ হলো। আশা করি এবার ক্যাম্পাসে অটো ও সিএনজি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্তি পাব। মো. রিয়াদ উদ্দীন নামে একজন বলেন, ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতের সমস্যা ছিল। ই–কারের মাধ্যমে সব দুর্ভোগ লাঘব হবে। ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতে স্বস্তি পাবো। চবি প্রশাসনকে ধন্যবাদ এমন একটা সেবা চালু করার জন্য।

চবির প্রক্টর ড. মোহাম্মদ তানভীর হায়দার আরিফ জানান, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে এবং যাতায়াতের অসুবিধা কমাতে আমরা ই–কার চালু করেছি। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই এই সেবা চালু করেছে এবং ভালো সেবা দিচ্ছে। আশা করি আমাদের শিক্ষার্থীরাও সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করবে।

ট্যাগস :

১০৪ সদস্য নিয়ে জাতিসংঘে পিকনিক করতে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা: মেজর হাফিজ

চবিতে চালু হচ্ছে ই-কার সেবা, উদ্বোধন আজ

আপডেট সময় ১২:৫৮:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের যাতায়াতকে সহজ ও আধুনিক করতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ইলেকট্রিক কার (ই–কার)। যার উদ্বোধন হচ্ছে আজ।গতকাল সোমবার ক্যাম্পাসে প্রথম দফায় ৬টি গাড়ি আনা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের সেবার কার্যকারিতা অনুযায়ী ভবিষ্যতে গাড়ির সংখ্যা ধাপে ধাপে ৪০টিরও বেশি হবে। ই–কার সেবা পরিচালনা করছে গ্রীণ ফিউচার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কোম্পানি, আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখাশোনা করবে আইনশৃঙ্খলার বিষয়। আপাতত গাড়িগুলোর পার্কিং স্থাপন করা হয়েছে মেরিন সাইন্স অনুষদের পাশে, পরবর্তী সময়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্টেশন স্থাপন করা হবে।

ই–কার পরীক্ষামূলকভাবে দুটি রুটে চলবে। প্রথম রুটটি জিরোপয়েন্ট থেকে বায়োলোজিকাল ফ্যাকাল্টি পর্যন্ত, আর দ্বিতীয় রুট জিরোপয়েন্ট থেকে সোহরাওয়ার্দী মোড় হয়ে ২ নং গেট অতিক্রম করে আইন অনুষদ ও সোস্যাল সায়েন্স অনুষদ হয়ে ফের জিরোপয়েন্টে পৌঁছাবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা। গাড়ির চালক এবং ভাড়া সংগ্রাহক থাকবেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োজিত।

ই–কার চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীরা খুশি। শিক্ষার্থী বাঁধন মিয়া বলেন, আমাদের বহুদিনের দাবি পূরণ হলো। আশা করি এবার ক্যাম্পাসে অটো ও সিএনজি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্তি পাব। মো. রিয়াদ উদ্দীন নামে একজন বলেন, ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতের সমস্যা ছিল। ই–কারের মাধ্যমে সব দুর্ভোগ লাঘব হবে। ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতে স্বস্তি পাবো। চবি প্রশাসনকে ধন্যবাদ এমন একটা সেবা চালু করার জন্য।

চবির প্রক্টর ড. মোহাম্মদ তানভীর হায়দার আরিফ জানান, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে এবং যাতায়াতের অসুবিধা কমাতে আমরা ই–কার চালু করেছি। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই এই সেবা চালু করেছে এবং ভালো সেবা দিচ্ছে। আশা করি আমাদের শিক্ষার্থীরাও সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করবে।