কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভ্যানচালক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছেন থানা পুলিশ। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর বাঁধের ১ কিলোমিটার দূরে ফসলী জমি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত কিশোর পৌরসভার এলঙ্গীপাড়া গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউনুস আলীর ছেলে হৃদয় হোসেন (১৫)।
এলাকাবাসী জানান, সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়ে তারা একটি গলাকাটা মরদেহ পরে থাকতে দেখে গ্রাম পুলিশকে খবর দিলে পরবর্তীতে কুমারখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিহত কিশোরের বাবা ইউনুস আলী জানান, রোববার বিকাল ৪টার দিকে তার ছেলে ভ্যান নিয়ে ভাড়া মারতে যায়। পরবর্তীতে গভীর রাত পর্যন্ত ছেলে বাড়িতে না ফিরলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার ছেলে রোববার বিকেলে বন্ধুকে নিয়ে ভ্যানে বেরাতে বের হয়। তিনি হৃদয়ের ওই বন্ধুর কাছে ছেলের খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ভ্যান নিয়ে তারাপুর মোড়ে পৌঁছালে একজন ভাড়ার কথা বললে হৃদয় তাকে কুমারখালী নামিয়ে দিয়ে ভাড়া মারতে চলে যায়। পরবর্তীতে তার বন্ধু আর কিছু জানেনা জানালে সোমবার সকালে থানায় অভিযোগ দিতে আসলে জানতে পারেন হাসিমপুর লাশ পাওয়ার খবর।
তিনি জানান, শুধুমাত্র ভ্যানের জন্য তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি তার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।
পুলিশ সুত্রে জানা যায় , মরদেহ উদ্ধারের পর এএসআই এখলাস, এএসআই কার্তিক ও এএসআই মনির নির্ভরযোগ্য সুত্রের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যে জড়িত বাটিকামারা গ্রামের রাকিব, জীবন, জিহাদ ও মাহফুজ নামের ৪ জনকে আটক করেন। এবং রাকিবের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বন্ধু কাঁঠালডাঙ্গি গ্রামের সানির বাড়ি থেকে ভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়।
কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত ) মো. আমিরুল ইসলাম জানান, গ্রাম-পুলিশের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে হাসিমপুর চরের ফসলী মাঠ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এবং পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনকে আটক ও ভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে।