ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ছাত্রদলে যোগ দিলেন বৈষম্য বিরোধী কমিটির ৩ নেতা Logo নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদল নেতার ক্লাব থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার Logo ভারত তোষণ আর সহ্য করা হবে না, আধিপত্যবাদের টুঁটি চেপে ধরুন: মামুনুল হক Logo শিগগিরই নতুন দল নিয়ে রাজনীতিতে আসছেন ইলিয়াস কাঞ্চন Logo সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দিনাজপুরে ছাত্রশিবিরের সমাবেশ Logo আমিরে জামায়াতের আগমন উপলক্ষে মুক্তাগাছায় জামায়াতের বিশাল শোডাউন Logo বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়তে চাই: বেরোবি উপাচার্য Logo ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় একজন নিহত Logo ৫ আগস্ট আটকা পড়েছিলেন পলক, উদ্ধার করে সেনাবাহিনী

আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন পুলিশের সাবেক আইজিপি শহীদুল

শরীয়তপুর-১ আসন (সদর-জাজিরা) থেকে নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক। সদর ও জাজিরা উপজেলায় ২৩টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং ২টি পৌরসভা আছে। এখানকার বর্তমান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন (অপু) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

শরীয়তপুর-১ নির্বাচনী এলাকার সদর ও জাজিরায় আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল আছে। এই এলাকা কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে আছে বলে দাবি শহীদুল হকের। তাই দলের মধ্যে থাকা বিভেদ নিরসন করে শান্তি স্থাপন করার জন্য এবং সদর ও জাজিরার উন্নয়নে ভূমিকা নিতে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হতে চান তিনি।

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হলে গতকাল সোমবার পর্যন্ত শরীয়তপুর-১ আসনের জন্য ১২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী তা সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য বি এম মোজাম্মেল হক, সাবেক পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবদুল আলীম ব্যাপারী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী জামিল প্রমুখ।

শহীদুল হকের বাড়ি শরীয়তপুর-২ নির্বাচনী এলাকার নড়িয়া উপজেলার নরবালাখানা গ্রামে। তাঁর ছোট ভাই ইসমাইল হক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আরেক ভাই নুরুল হক ব্যাপারী নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যাওয়ার পর শহীদুল হক গ্রামের বাড়িতে তাঁর মা–বাবার নামে মজিদ-জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশ নিলেও কখনো আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়নি তাঁকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী স্থানীয় নেতাদের প্রায় সবারই আলাদা আলাদা নেতা-কর্মী বাহিনী আছে। প্রত্যেকেই আলাদা বলয়ে রাজনীতি করেন। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারেন না। এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাচ্ছেন শহীদুল হক।

এসব বিষয়ে শহীদুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। এখন দল থাকবে সুসংগঠিত। জনসাধারণের মঙ্গল করতে হলে সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান থাকতে হবে। কিন্তু শরীয়তপুর-১ নির্বাচনী এলাকায় তা অনুপস্থিত। এখানে নেতায়–নেতায় বিরোধ। সাধারণ মানুষ এসব ঘটনায় বিরক্ত, তাঁরা এসব আর দেখতে চান না। এলাকায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। দলের তৃণমূলের অনেক নেতা ও সুশীল সমাজের লোকজন তাঁকে রাজনীতিতে আসার অনুরোধ করেছেন বলে তাঁর দাবি।

শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা, দ্বন্দ্ব, বিভেদ থাকা স্বাভাবিক ঘটনা। শরীয়তপুর-১ নির্বাচনী এলাকায়ও তেমন আছে। সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ওই আসনে মনোনয়ন চান। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, সবাই মিলে তাঁর বিজয় নিশ্চিতে কাজ করবেন তাঁরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রদলে যোগ দিলেন বৈষম্য বিরোধী কমিটির ৩ নেতা

আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন পুলিশের সাবেক আইজিপি শহীদুল

আপডেট সময় ০৭:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

শরীয়তপুর-১ আসন (সদর-জাজিরা) থেকে নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক। সদর ও জাজিরা উপজেলায় ২৩টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং ২টি পৌরসভা আছে। এখানকার বর্তমান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন (অপু) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

শরীয়তপুর-১ নির্বাচনী এলাকার সদর ও জাজিরায় আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল আছে। এই এলাকা কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে আছে বলে দাবি শহীদুল হকের। তাই দলের মধ্যে থাকা বিভেদ নিরসন করে শান্তি স্থাপন করার জন্য এবং সদর ও জাজিরার উন্নয়নে ভূমিকা নিতে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হতে চান তিনি।

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হলে গতকাল সোমবার পর্যন্ত শরীয়তপুর-১ আসনের জন্য ১২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী তা সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য বি এম মোজাম্মেল হক, সাবেক পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবদুল আলীম ব্যাপারী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী জামিল প্রমুখ।

শহীদুল হকের বাড়ি শরীয়তপুর-২ নির্বাচনী এলাকার নড়িয়া উপজেলার নরবালাখানা গ্রামে। তাঁর ছোট ভাই ইসমাইল হক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আরেক ভাই নুরুল হক ব্যাপারী নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যাওয়ার পর শহীদুল হক গ্রামের বাড়িতে তাঁর মা–বাবার নামে মজিদ-জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশ নিলেও কখনো আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়নি তাঁকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী স্থানীয় নেতাদের প্রায় সবারই আলাদা আলাদা নেতা-কর্মী বাহিনী আছে। প্রত্যেকেই আলাদা বলয়ে রাজনীতি করেন। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারেন না। এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাচ্ছেন শহীদুল হক।

এসব বিষয়ে শহীদুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। এখন দল থাকবে সুসংগঠিত। জনসাধারণের মঙ্গল করতে হলে সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান থাকতে হবে। কিন্তু শরীয়তপুর-১ নির্বাচনী এলাকায় তা অনুপস্থিত। এখানে নেতায়–নেতায় বিরোধ। সাধারণ মানুষ এসব ঘটনায় বিরক্ত, তাঁরা এসব আর দেখতে চান না। এলাকায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। দলের তৃণমূলের অনেক নেতা ও সুশীল সমাজের লোকজন তাঁকে রাজনীতিতে আসার অনুরোধ করেছেন বলে তাঁর দাবি।

শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা, দ্বন্দ্ব, বিভেদ থাকা স্বাভাবিক ঘটনা। শরীয়তপুর-১ নির্বাচনী এলাকায়ও তেমন আছে। সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ওই আসনে মনোনয়ন চান। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, সবাই মিলে তাঁর বিজয় নিশ্চিতে কাজ করবেন তাঁরা।