ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চলছে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ , চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত Logo জাকসু নির্বাচন : নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতে নির্বাচন কমিশনে বিএনপি নেতারা Logo জাবির বিপ্লবী শিক্ষার্থীরা সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত: জাহিদুল ইসলাম Logo আল আজাহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি পরিক্ষায় প্রথমস্থান অর্জন করেছে মুন্সিগঞ্জের শিহাব Logo আজ কখন বজ্রবৃষ্টি ঢাকায়,জানাল আবহাওয়া অফিস Logo শ্রীমঙ্গলে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চোরাচালানের পণ্যসহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo জাতীয় নির্বাচনে তিন হাজার ভোটারের জন্য থাকবে একটি কেন্দ্র Logo দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসুতে ভোট আজ Logo সেন্টমার্টিন থেকে ৪০ বাংলাদেশী জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি Logo দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন আগামীকাল, ভোটে লড়বে ৮ প্যানেল

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবে ভারতীয়রা

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবে ভারতীয়রা

আসামে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় চাইলে আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবেন সেখানকার সাধারণ ভারতীয়রা। এ সংক্রান্ত লাইসেন্স নীতির অনুমোদন করেছে আসামের ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার। ‘অরক্ষিত বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে’ বসবাসরত নাগরিকদের আত্মরক্ষার জন্য এই নতুন ব্যবস্থা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে আবেদনের জন্য একটি ডিজিটাল পোর্টাল চালুও করেছে আসাম সরকার। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, রাজ্যের কিছু অংশে অস্ত্রের লাইসেন্স যাতে সহজেই পাওয়া যায়, সেজন্য এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য কারা, কীভাবে আবেদন করতে পারবেন, সেটিও জানিয়েছেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাজ্যের সংখ্যালঘু-প্রধান ও বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা ‘অরক্ষিত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে’ বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য এই লাইসেন্স দেয়া হবে। গত মে মাসে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যটির মন্ত্রিসভা। এবার সেটি কার্যকর করা হলো।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদি আমি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে থাকি অথবা দুই রাজ্যে সীমানাবর্তী এলাকায় বসবাস করি অথবা এমন এক অরক্ষিত ও সংবেদনশীল এলাকায় থাকি, যেখানে আমার সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা কম তাহলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি এমন পরিস্থিতি হয় তাহলে ছোট ছোট ঘটনা উত্তেজেনার আবহ তৈরি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাতে পারে। পুড়িয়ে দিতে পারে ঘরবাড়ি। নানা কিছু ঘটতে পারে। একটি থানায় খুবই কম সংখ্যক পুলিশ থাকে। কোনো ঘটনা মোকাবিলায় জেলা থেকে টিম যেতেও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। আর ওই সময়ের মধ্যে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। তাই পুলিশ যতক্ষণ না আসছে নিজেদের সুরক্ষা করা প্রয়োজন। আর তাই এই ব্যবস্থা চালু করা হলো।’

অস্ত্রের লাইসেন্স কারা পাবেন এ বিষয়ে রাজ্যটির সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আবেদনকারীদের বয়স অন্তত ২১ বছর হতে হবে। ‘অরক্ষিত, সংবেদনশীল ও প্রত্যন্ত’ অঞ্চলের বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা বা অপরাধের রেকর্ড আছে কি না, তা দেখা হবে। আবেদনকারীদের অবশ্যই ‘শারীরিক এবং মানসিকভাবে’ সুস্থ হতে হবে। এ ছাড়াও, ২০১৬ সালের অস্ত্র আইন অনুযায়ী আবেদনকারীদের প্রশিক্ষণের সনদ থাকতে হবে।

এর আগে গত মে মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বাসিন্দারা নিজেদের জমিতেই ‘বাংলাদেশিদের’ আক্রমণ ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন আক্রমণ থেকে ভারতীয়রা যাতে নিজেদের সুরক্ষিত করতে পারেন, তার জন্যই এই বিশেষ অস্ত্র প্রকল্পটি চালু করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চলছে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ , চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবে ভারতীয়রা

আপডেট সময় ০৭:৩৭:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

আসামে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় চাইলে আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবেন সেখানকার সাধারণ ভারতীয়রা। এ সংক্রান্ত লাইসেন্স নীতির অনুমোদন করেছে আসামের ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার। ‘অরক্ষিত বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে’ বসবাসরত নাগরিকদের আত্মরক্ষার জন্য এই নতুন ব্যবস্থা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে আবেদনের জন্য একটি ডিজিটাল পোর্টাল চালুও করেছে আসাম সরকার। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, রাজ্যের কিছু অংশে অস্ত্রের লাইসেন্স যাতে সহজেই পাওয়া যায়, সেজন্য এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য কারা, কীভাবে আবেদন করতে পারবেন, সেটিও জানিয়েছেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাজ্যের সংখ্যালঘু-প্রধান ও বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা ‘অরক্ষিত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে’ বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য এই লাইসেন্স দেয়া হবে। গত মে মাসে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যটির মন্ত্রিসভা। এবার সেটি কার্যকর করা হলো।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদি আমি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে থাকি অথবা দুই রাজ্যে সীমানাবর্তী এলাকায় বসবাস করি অথবা এমন এক অরক্ষিত ও সংবেদনশীল এলাকায় থাকি, যেখানে আমার সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা কম তাহলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি এমন পরিস্থিতি হয় তাহলে ছোট ছোট ঘটনা উত্তেজেনার আবহ তৈরি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাতে পারে। পুড়িয়ে দিতে পারে ঘরবাড়ি। নানা কিছু ঘটতে পারে। একটি থানায় খুবই কম সংখ্যক পুলিশ থাকে। কোনো ঘটনা মোকাবিলায় জেলা থেকে টিম যেতেও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। আর ওই সময়ের মধ্যে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। তাই পুলিশ যতক্ষণ না আসছে নিজেদের সুরক্ষা করা প্রয়োজন। আর তাই এই ব্যবস্থা চালু করা হলো।’

অস্ত্রের লাইসেন্স কারা পাবেন এ বিষয়ে রাজ্যটির সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আবেদনকারীদের বয়স অন্তত ২১ বছর হতে হবে। ‘অরক্ষিত, সংবেদনশীল ও প্রত্যন্ত’ অঞ্চলের বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা বা অপরাধের রেকর্ড আছে কি না, তা দেখা হবে। আবেদনকারীদের অবশ্যই ‘শারীরিক এবং মানসিকভাবে’ সুস্থ হতে হবে। এ ছাড়াও, ২০১৬ সালের অস্ত্র আইন অনুযায়ী আবেদনকারীদের প্রশিক্ষণের সনদ থাকতে হবে।

এর আগে গত মে মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বাসিন্দারা নিজেদের জমিতেই ‘বাংলাদেশিদের’ আক্রমণ ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন আক্রমণ থেকে ভারতীয়রা যাতে নিজেদের সুরক্ষিত করতে পারেন, তার জন্যই এই বিশেষ অস্ত্র প্রকল্পটি চালু করা হবে।