ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

ককটেল নিক্ষেপকারীদের পালাতে সাহায্য করেছে পুলিশ: আফরোজা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসা লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপকারী হেলমেট পরা দুজনকে পালিয়ে যেতে পুলিশ সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা আব্বাসের স্ত্রী ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।

আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসায় সাংবাদিকদের এই অভিযোগ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস।

আফরোজা আব্বাস বলেন, দারোয়ান বলল, কালো পোশাক ও হেলমেট পড়ে দুজন হামলা করেছে। তারা একই মোটরসাইকেলে ছিল। বাসার বাইরে পুলিশের তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেল ছিল। হামলাকারীদের ধরার জন্য দারোয়ান পুলিশকে বলল। পুলিশ তাদের না ধরে পালিয়ে যেতে সহায়তা করল।

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে আফরোজা আব্বাস সাংবাদিকদের বলেন, এর আগেও বাসায় হামলা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ সারা দেশে এমন তাণ্ডব চালিয়ে বিরোধীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। এখানে প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। তারা মির্জা আব্বাসকে মেরে ফেলতে চায়। কারণ মির্জা আব্বাস মারা গেলে মতিঝিল, পল্টন এলাকা তাদের আওতায় থাকবে। কিন্তু আব্বাস তো জেলে। আজ আমার পরিবারের লোকজন বা বাসার স্টাফরা মারা যেতে পারত।

এ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না জানতে চাইলে আফরোজা আব্বাস বলেন, হামলাকারীদের ধরতে না পারলে, নিরাপত্তা দিতে না পারলে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। এ কথা বলার পরেই তিনি বলেন, আর ভাই মামলাতো নেয় না। এর আগেও হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি। আদালতও মামলা নেয়নি। এই সরকার থাকলে কোনো দিন ন্যায়বিচার পাব না। ‘

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার আজ এক বিবৃতিতে জানান, মির্জা আব্বাসের বাসা লক্ষ্য করে সকাল আটটার দিকে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় করা মামলায় ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন মির্জা আব্বাস। তিনি এখন কারাগারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

ককটেল নিক্ষেপকারীদের পালাতে সাহায্য করেছে পুলিশ: আফরোজা আব্বাস

আপডেট সময় ০৪:০৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসা লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপকারী হেলমেট পরা দুজনকে পালিয়ে যেতে পুলিশ সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা আব্বাসের স্ত্রী ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।

আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসায় সাংবাদিকদের এই অভিযোগ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস।

আফরোজা আব্বাস বলেন, দারোয়ান বলল, কালো পোশাক ও হেলমেট পড়ে দুজন হামলা করেছে। তারা একই মোটরসাইকেলে ছিল। বাসার বাইরে পুলিশের তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেল ছিল। হামলাকারীদের ধরার জন্য দারোয়ান পুলিশকে বলল। পুলিশ তাদের না ধরে পালিয়ে যেতে সহায়তা করল।

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে আফরোজা আব্বাস সাংবাদিকদের বলেন, এর আগেও বাসায় হামলা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ সারা দেশে এমন তাণ্ডব চালিয়ে বিরোধীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। এখানে প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। তারা মির্জা আব্বাসকে মেরে ফেলতে চায়। কারণ মির্জা আব্বাস মারা গেলে মতিঝিল, পল্টন এলাকা তাদের আওতায় থাকবে। কিন্তু আব্বাস তো জেলে। আজ আমার পরিবারের লোকজন বা বাসার স্টাফরা মারা যেতে পারত।

এ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না জানতে চাইলে আফরোজা আব্বাস বলেন, হামলাকারীদের ধরতে না পারলে, নিরাপত্তা দিতে না পারলে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। এ কথা বলার পরেই তিনি বলেন, আর ভাই মামলাতো নেয় না। এর আগেও হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি। আদালতও মামলা নেয়নি। এই সরকার থাকলে কোনো দিন ন্যায়বিচার পাব না। ‘

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার আজ এক বিবৃতিতে জানান, মির্জা আব্বাসের বাসা লক্ষ্য করে সকাল আটটার দিকে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় করা মামলায় ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন মির্জা আব্বাস। তিনি এখন কারাগারে।