দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন তারপর টাইব্রেকারে স্নায়ু-যুদ্ধ জিতে উয়েফা সুপার কাপ নিজের করে নিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)।
ইতালির উদিনের ব্লু এনার্জি স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে টটেনহ্যাম হটস্পারের সঙ্গে স্কোর ছিল ২-২। পেনাল্টিতে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে আরেকটি ইউরোপিয়ান ট্রফি যোগ করল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
ম্যাচে অনেকেই ভেবেছিল পিএসজির কাছে পাত্তাই পাবে না টটেনহ্যাম। শুরুতে বল দখলে আধিপত্য ছিল পিএসজির (বল দখল ৭৪%), কিন্তু সুযোগ কাজে লাগায় এগিয়ে ছিল টটেনহ্যাম। ৩৯ মিনিটে মিকি ফান দে ভেনের হেডে লিড নেয় তারা। এই গোলের পর নির্ঘাত পিএসজি সমর্থকদের ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালের কথা মনে পড়েছিল যেখানে লন্ডনের আরেক ক্লাব (চেলসি) তাদের নাকানি চুবানি খাইয়ে ট্রফি জিতে নিয়ে গিয়েছিল। সেই ভয় আরো বাড়ে যখন বিরতির পর ৪৮ মিনিটে পেদ্রো পোড়োর ক্রসে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়।
তবে শেষ পাঁচ মিনিটে বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে কামব্যাক না হলেও এই ফাইনালে ৮৫ মিনিটে ভিতিনহার পাস থেকে কাং-ইন লি গোল করে পিএসজিকে ম্যাচে ফেরান। আর এরপরের নাটক জমা ম্যাচের শেষ সময়ের জন্য। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে উসমান দেম্বেলের নিখুঁত ক্রসে গনসালো রামোসের হেডে সমতায় ফেরে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
এরপরেও ছিল নাটকীয়তা। টাইব্রেকারে শুরুটা ভালো হয়নি পিএসজির— প্রথম শটেই ১২ গজ দূর থেকে ভিতিনহার শট পোস্টের বাইরে। তবে নতুন গোলরক্ষক লুকা শেভালিয়েরের দারুণ সেভে ভ্যান দে ভেনের শট রুখে দেন তিনি। এরপর স্পার্সের তরুণ ফরোয়ার্ড ম্যাথিস টেল মারাত্মকভাবে বাইরে মেরে বসেন। শেষ শট নিতে এসে পুরো স্টেডিয়াম নীরব করে দেন নুনো মেন্দেস— ঠাণ্ডা মাথায় বল পাঠান জালে, নিশ্চিত করেন পিএসজির ৪-৩ পেনাল্টি জয়।
চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী পিএসজি এবার সুপার কাপও জয় করল, যদিও পরিসংখ্যানে (xG) পিছিয়ে ছিল— পিএসজির xG ছিল ১.১৭, টটেনহ্যামের ১.৩৮। তবু শেষ হাসি হাসল এনরিকের দল।