ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সহসভাপতি মৃত ব্যক্তি

কুষ্টিয়ায় বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সহসভাপতি মৃত ব্যক্তি

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটির তালিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, এই কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে একজন মৃত ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে। অনেক নেতা-কর্মী বলছেন, ত্যাগীদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করার কারণেই এমন কাণ্ড ঘটেছে। তাঁদের অভিযোগ, ত্যাগীদের বঞ্চিত করে ওয়ার্ড সভাপতির নিজ এলাকা থেকে ৪২ জনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। তবে ওয়ার্ড কমিটিতে মৃত ব্যক্তিকে নেতা বানানোর ব্যাপারে উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতারা কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৭ আগস্ট চাপড়া ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে বিএনপির কমিটি গঠিত হয়। তার মধ্যে ২৪ জুলাই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়। এতে শহিদ মিয়াকে সভাপতি ও মোশারফ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই কমিটিতে ৪ নম্বর সহসভাপতি পদে মৃত ব্যক্তি মো. সাহিদকে যুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের অনেক নেতা-কর্মী।

মৃত ব্যক্তির ভাই একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বছরখানেকের বেশি হলো আমার ভাই হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু ওয়ার্ড কমিটিতে সহসভাপতি পদে তাঁর নাম থাকাটা ভুলবশত হয়েছে। যদিও আমরা দিয়েছিলাম, এক কমিটি অথচ অনুমোদন হয়েছে আরেক কমিটি।’

ইউনিয়ন বিএনপির পদবঞ্চিত নেতা আব্দুর রাজ্জাক রাজার অভিযোগ, নেতারা তাঁদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এসব বিতর্কিত কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন ‘এসব কমিটিতে দলের জন্য জেল-জুলুমের শিকার ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে তাঁদের আত্মীয়স্বজন এবং কাছের লোকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি এক নেতার এলাকার ৪২ জনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। আর বাকি ওয়ার্ড মিলে ৯ জন কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন।’

৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শহিদ মিয়া বলেন, ‘কমিটিকে মৃত ব্যক্তি রয়েছেন ব্যাপারটি আমার জানা নেই। আমার ছেলে এলে কমিটির লিস্ট বের করে যাচাই করে আপনাকে জানাব। তবে আমার পছন্দের লোক নিয়ে কমিটি গঠনের অভিযোগ সঠিক নয়।’

চাপড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বলেন, ‘ওয়ার্ড কমিটিতে মৃত ব্যক্তি রয়েছেন, এ বিষয়টি আমারও জানা নেই। ঘণ্টাখানেক সময় দিলে আমি এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানাতে পারব।’ পরে তাঁকে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব লুৎফর রহমান বলেন, ‘ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সময় সার্চ কমিটি, জেলা কমিটি ও থানা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আমি ছিলাম কো-অর্ডিনেটর। কেউ কথা না বললে কীভাবে বুঝতে পারব। কমিটিতে মৃত কেউ আছেন জানতে পারলে তা হতে দিতাম না।’

জনপ্রিয় সংবাদ

হার্ট অ্যাটাক করেছেন হিরো আলম!

কুষ্টিয়ায় বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সহসভাপতি মৃত ব্যক্তি

আপডেট সময় ১০:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটির তালিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, এই কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে একজন মৃত ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে। অনেক নেতা-কর্মী বলছেন, ত্যাগীদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করার কারণেই এমন কাণ্ড ঘটেছে। তাঁদের অভিযোগ, ত্যাগীদের বঞ্চিত করে ওয়ার্ড সভাপতির নিজ এলাকা থেকে ৪২ জনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। তবে ওয়ার্ড কমিটিতে মৃত ব্যক্তিকে নেতা বানানোর ব্যাপারে উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতারা কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৭ আগস্ট চাপড়া ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে বিএনপির কমিটি গঠিত হয়। তার মধ্যে ২৪ জুলাই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়। এতে শহিদ মিয়াকে সভাপতি ও মোশারফ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই কমিটিতে ৪ নম্বর সহসভাপতি পদে মৃত ব্যক্তি মো. সাহিদকে যুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের অনেক নেতা-কর্মী।

মৃত ব্যক্তির ভাই একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বছরখানেকের বেশি হলো আমার ভাই হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু ওয়ার্ড কমিটিতে সহসভাপতি পদে তাঁর নাম থাকাটা ভুলবশত হয়েছে। যদিও আমরা দিয়েছিলাম, এক কমিটি অথচ অনুমোদন হয়েছে আরেক কমিটি।’

ইউনিয়ন বিএনপির পদবঞ্চিত নেতা আব্দুর রাজ্জাক রাজার অভিযোগ, নেতারা তাঁদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এসব বিতর্কিত কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন ‘এসব কমিটিতে দলের জন্য জেল-জুলুমের শিকার ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে তাঁদের আত্মীয়স্বজন এবং কাছের লোকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি এক নেতার এলাকার ৪২ জনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। আর বাকি ওয়ার্ড মিলে ৯ জন কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন।’

৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শহিদ মিয়া বলেন, ‘কমিটিকে মৃত ব্যক্তি রয়েছেন ব্যাপারটি আমার জানা নেই। আমার ছেলে এলে কমিটির লিস্ট বের করে যাচাই করে আপনাকে জানাব। তবে আমার পছন্দের লোক নিয়ে কমিটি গঠনের অভিযোগ সঠিক নয়।’

চাপড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বলেন, ‘ওয়ার্ড কমিটিতে মৃত ব্যক্তি রয়েছেন, এ বিষয়টি আমারও জানা নেই। ঘণ্টাখানেক সময় দিলে আমি এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানাতে পারব।’ পরে তাঁকে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব লুৎফর রহমান বলেন, ‘ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সময় সার্চ কমিটি, জেলা কমিটি ও থানা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আমি ছিলাম কো-অর্ডিনেটর। কেউ কথা না বললে কীভাবে বুঝতে পারব। কমিটিতে মৃত কেউ আছেন জানতে পারলে তা হতে দিতাম না।’