ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঢাবির ছাত্রাবাসের সামনে সংঘর্ষ, নেপথ্যে ঢাকা কলেজ ছাত্রদল কর্মীর দোকান Logo আবু সাঈদ হত্যা মামলার দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Logo চবি ছাত্রদলের নেতা মামুনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল Logo নর্থসাউথ শিক্ষার্থীর কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে হরগঙ্গায় কোরআন বিতরণ Logo দিনাজপুরে শিবিরকর্মী হত্যা মামলায় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন কারাগারে Logo ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক Logo হাজার হাজার দেশপ্রেমিকের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর Logo ১৩টি ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ আ.লীগ-বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে Logo টিভিতে যে খেলা থাকছে আজ Logo মধ্যরাতে ঢাবি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সং’ঘর্ষ

সিলেটে রায়হান হত্যা মামলা: জামিনে মুক্ত প্রধান আসামি এসআই আকবর

সিলেটে রায়হান হত্যা মামলা: জামিনে মুক্ত প্রধান আসামি এসআই আকবর

সিলেটের বহুল আলোচিত রায়হান উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। রোববার (১০ আগস্ট) হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের ভিত্তিতে তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে ছাড়া পান।

ডেপুটি জেলার মনিরুল হাসান জানান, উচ্চ আদালত থেকে আসা জামিনের নথি রোববার বিকেলে কারাগারে পৌঁছায়। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর সন্ধ্যার দিকে আকবর কারাগার ত্যাগ করেন।

তিনি আরও বলেন, আকবর প্রথমে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ চালু হলে গত ২৫ মার্চ তাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়। মুক্তির আগ পর্যন্ত সেখানেই তিনি বন্দি ছিলেন।

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিনকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরদিন সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি ছিল -পুলিশি নির্যাতনেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। পরে মহানগর পুলিশের তদন্ত কমিটি নির্যাতনের প্রমাণ পেয়ে এসআই আকবরসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে। এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। পলাতক থাকা আকবরকে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর কানাইঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়।

২০২১ সালের ৫ মে পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেখানে এসআই আকবরকে প্রধান আসামি করা হয়। অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, বরখাস্ত এসআই হাসান উদ্দিন এবং আকবরের আত্মীয় সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল নোমান।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবির ছাত্রাবাসের সামনে সংঘর্ষ, নেপথ্যে ঢাকা কলেজ ছাত্রদল কর্মীর দোকান

সিলেটে রায়হান হত্যা মামলা: জামিনে মুক্ত প্রধান আসামি এসআই আকবর

আপডেট সময় ০৬:২৯:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

সিলেটের বহুল আলোচিত রায়হান উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। রোববার (১০ আগস্ট) হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের ভিত্তিতে তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে ছাড়া পান।

ডেপুটি জেলার মনিরুল হাসান জানান, উচ্চ আদালত থেকে আসা জামিনের নথি রোববার বিকেলে কারাগারে পৌঁছায়। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর সন্ধ্যার দিকে আকবর কারাগার ত্যাগ করেন।

তিনি আরও বলেন, আকবর প্রথমে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ চালু হলে গত ২৫ মার্চ তাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়। মুক্তির আগ পর্যন্ত সেখানেই তিনি বন্দি ছিলেন।

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিনকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরদিন সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি ছিল -পুলিশি নির্যাতনেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। পরে মহানগর পুলিশের তদন্ত কমিটি নির্যাতনের প্রমাণ পেয়ে এসআই আকবরসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে। এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। পলাতক থাকা আকবরকে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর কানাইঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়।

২০২১ সালের ৫ মে পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেখানে এসআই আকবরকে প্রধান আসামি করা হয়। অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, বরখাস্ত এসআই হাসান উদ্দিন এবং আকবরের আত্মীয় সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল নোমান।