ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ট্রাইব্যুনালে সাবেক আইজিপি শহিদুলসহ ১৫ আসামিকে হাজির Logo আজ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন জামায়াত আমির Logo নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র ভুল দাবি করলেন পঞ্চগড়ের আফসার Logo বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৫টি সমঝোতা স্মারক ও তিনটি নোট বিনিময় সই Logo ছাত্রশিবির সম্পর্কে অনেক প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে -জাহিদুল ইসলাম Logo ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়ল আরও এক মাস Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চলছে Logo রাবি ভিসির বাসভবনে শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রদল নেতার তালা Logo ইসি চাইলে ৩০০ আসনের ফল বাতিল করতে পারবে-ইসি সানাউল্লাহ Logo স্থলপথে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

বিষ পান করিয়ে পিতাকে হত্যা, আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি সন্তানের

বিষ পান করিয়ে পিতাকে হত্যা, আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি সন্তানের

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পিতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন আলামিন মিয়া নামে এক সন্তান। তিনি রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের সুনামি মার্কেটে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান। আলামিন উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পূর্ব বৈদ্যনাথ গ্রামের মৃত আশেক আলীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে আলামিন মিয়া বলেন, মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রথম সংসার ভাঙার পর ২০২৪ সালে দহবন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম ঝিনিয়া গ্রামের মতিয়ার রহমান ওরফে মশিউর রহমানের কন্যা মোছাঃ আল্পনা আক্তারকে বিয়ে করেন। শুরুতে সংসার ভালো চললেও আল্পনা বেগম পরবর্তীতে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একাধিকবার বাধা দিলেও তিনি তা উপেক্ষা করেন।

আলামিনের অভিযোগ, আল্পনার মা শহিতন বেগম, পিতা মতিয়ার রহমান এবং আত্মীয় ছাদেক আলী বিভিন্ন সময় কু-পরামর্শ দিয়ে দাম্পত্য কলহ বাড়িয়ে দেন। এক পর্যায়ে আল্পনা স্বামীর এক লক্ষ টাকা নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলে আশেক আলী হুমকি-ধমকির শিকার হন।

বাধ্য হয়ে আশেক আলী এ বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা জেলার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ স্ত্রীকে উদ্ধারের আবেদন করেন। এতে আল্পনার মা, পিতা ও আত্মীয়কে আসামি করা হয়। কিন্তু মামলা প্রত্যাহার না করায় তারা হত্যার ষড়যন্ত্র করে বলে অভিযোগ করেন আলামিন।

অভিযোগে তিনি জানান, ৩১ জুলাই রাতে আল্পনা আক্তার বাবার বাড়িতে আশেক আলীকে ডেকে নিয়ে যায় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জন সহযোগীর সহায়তায় বিষ পান করিয়ে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির গেটের সামনে ফেলে রাখে। পরদিন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং আল্পনাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।

তবে আলামিন অভিযোগ করেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাইব্যুনালে সাবেক আইজিপি শহিদুলসহ ১৫ আসামিকে হাজির

বিষ পান করিয়ে পিতাকে হত্যা, আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি সন্তানের

আপডেট সময় ০৯:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পিতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন আলামিন মিয়া নামে এক সন্তান। তিনি রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের সুনামি মার্কেটে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান। আলামিন উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পূর্ব বৈদ্যনাথ গ্রামের মৃত আশেক আলীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে আলামিন মিয়া বলেন, মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রথম সংসার ভাঙার পর ২০২৪ সালে দহবন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম ঝিনিয়া গ্রামের মতিয়ার রহমান ওরফে মশিউর রহমানের কন্যা মোছাঃ আল্পনা আক্তারকে বিয়ে করেন। শুরুতে সংসার ভালো চললেও আল্পনা বেগম পরবর্তীতে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একাধিকবার বাধা দিলেও তিনি তা উপেক্ষা করেন।

আলামিনের অভিযোগ, আল্পনার মা শহিতন বেগম, পিতা মতিয়ার রহমান এবং আত্মীয় ছাদেক আলী বিভিন্ন সময় কু-পরামর্শ দিয়ে দাম্পত্য কলহ বাড়িয়ে দেন। এক পর্যায়ে আল্পনা স্বামীর এক লক্ষ টাকা নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলে আশেক আলী হুমকি-ধমকির শিকার হন।

বাধ্য হয়ে আশেক আলী এ বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা জেলার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ স্ত্রীকে উদ্ধারের আবেদন করেন। এতে আল্পনার মা, পিতা ও আত্মীয়কে আসামি করা হয়। কিন্তু মামলা প্রত্যাহার না করায় তারা হত্যার ষড়যন্ত্র করে বলে অভিযোগ করেন আলামিন।

অভিযোগে তিনি জানান, ৩১ জুলাই রাতে আল্পনা আক্তার বাবার বাড়িতে আশেক আলীকে ডেকে নিয়ে যায় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জন সহযোগীর সহায়তায় বিষ পান করিয়ে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির গেটের সামনে ফেলে রাখে। পরদিন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং আল্পনাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।

তবে আলামিন অভিযোগ করেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।