ঢাকা ০৯:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিবন্ধন ফিরিয়ে না দিলে পালানোর পথ পাবেন না-ড.মু. রেজাউল করিম।

অবিলম্বে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিন; অন্যথায় জনতার রুদ্ররোষে পালানোর পথ পাবেন না বলে সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ সকালে ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে তা পূনঃর্বহালের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর-১ গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টেকনিক্যালে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা ও ডা.ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দিন, মু. আতাউর রহমান সরকার ও নাসির উদ্দিন, ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান,আব্দুর রহিম ও সালাহ উদ্দিন প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন,অবৈধ ও মাফিয়া সরকার ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর সকল জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী জননন্দিত ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এমন অনায্য রায় জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। মূলত, আওয়ামী লীগ খুনী, গুম ও দুর্নীতিবাজ, ভোট চোর, আইন ও সংবিধান লঙ্ঘনকারী সরকার। তারা তাদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে টানা-হেচরা শুরু করেছে। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি আদায়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে এসেছে। বাকশালী সরকার জনতার আন্দোলন দমনের জন্য রাষ্ট্রশক্তি ও দলীয় ক্যাডার বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে। কিন্তু জনতার বুকে পুলিশ দিয়ে গুলী চালিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না বরং গণবিরোধী সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনতার আন্দোলন চলবে। তিনি আগামী দিনের রাজপথের সকল কর্মসূচিকে আরো জোরদার করার জন্য দলমত নির্বিশেষ সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন,সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন সহ দলীয় শীর্ষনেতাদের অন্যায়ভাবে আটক করে রেখেছে। মহানগরী সেক্রেটারি সরকারকে পদত্যাগের আহবান জানিয়ে বলেন, সময় থাকতে পদত্যাগ করুন; অন্যথায় টেনে-হিঁচরে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে। আর এই আদালতেই আওয়ামী-বাকশালীদের নিবন্ধন বাতিল হবে-ইনশাআল্লাহ। তিনি জুলুম-নির্যাতনের পথ পরিহার করে অবিলম্বে আমীর জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ জাতীয় নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহবান জানান। অন্যথায় বাকশালীদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমের সঙ্গে জড়িত কেউ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: প্রেস সচিব

নিবন্ধন ফিরিয়ে না দিলে পালানোর পথ পাবেন না-ড.মু. রেজাউল করিম।

আপডেট সময় ১২:৩৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

অবিলম্বে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিন; অন্যথায় জনতার রুদ্ররোষে পালানোর পথ পাবেন না বলে সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ সকালে ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে তা পূনঃর্বহালের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর-১ গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টেকনিক্যালে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা ও ডা.ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দিন, মু. আতাউর রহমান সরকার ও নাসির উদ্দিন, ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান,আব্দুর রহিম ও সালাহ উদ্দিন প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন,অবৈধ ও মাফিয়া সরকার ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর সকল জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী জননন্দিত ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এমন অনায্য রায় জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। মূলত, আওয়ামী লীগ খুনী, গুম ও দুর্নীতিবাজ, ভোট চোর, আইন ও সংবিধান লঙ্ঘনকারী সরকার। তারা তাদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে টানা-হেচরা শুরু করেছে। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি আদায়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে এসেছে। বাকশালী সরকার জনতার আন্দোলন দমনের জন্য রাষ্ট্রশক্তি ও দলীয় ক্যাডার বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে। কিন্তু জনতার বুকে পুলিশ দিয়ে গুলী চালিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না বরং গণবিরোধী সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনতার আন্দোলন চলবে। তিনি আগামী দিনের রাজপথের সকল কর্মসূচিকে আরো জোরদার করার জন্য দলমত নির্বিশেষ সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন,সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন সহ দলীয় শীর্ষনেতাদের অন্যায়ভাবে আটক করে রেখেছে। মহানগরী সেক্রেটারি সরকারকে পদত্যাগের আহবান জানিয়ে বলেন, সময় থাকতে পদত্যাগ করুন; অন্যথায় টেনে-হিঁচরে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে। আর এই আদালতেই আওয়ামী-বাকশালীদের নিবন্ধন বাতিল হবে-ইনশাআল্লাহ। তিনি জুলুম-নির্যাতনের পথ পরিহার করে অবিলম্বে আমীর জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ জাতীয় নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহবান জানান। অন্যথায় বাকশালীদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।