২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিরস্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করা লক্ষ্মীপুরের সন্তান খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। আজও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দশটি গুলিতে ঝাঁঝরা শরীর নিয়ে বছরের পর বছর ধরে কষ্টে বেঁচে থাকা এই মুক্তিকামী মানুষটির মৌলিক চাহিদার একটি—ব্যক্তিগত ওয়াশরুম—এখনো পূরণ হয়নি।
খালেদ মাহমুদ জানান, অজু, গোসল ও ওয়াশরুম ব্যবহার তার জন্য এখন মারাত্মক কষ্টদায়ক। এ অবস্থায় তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কোনো ফল পাননি। এমনকি সরাসরি দেখা করলেও ডিসি কেবল আইন দেখিয়ে জানিয়েছেন—এ বিষয়ে কোনো ফান্ড নেই।
তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন— “যে স্বাধীনতা আমরা এনেছি, সেই দেশে আজ আমরা মারা যাচ্ছি, আর রাষ্ট্র শুধু আইন দেখিয়ে কবর দেওয়ার দিনের অপেক্ষা করছে। আমার আর রাষ্ট্রের কাছে কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।
লক্ষ্মীপুরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে খালেদ মাহমুদ আরও বলেন— আমি আপনাদের সন্তান, আমাকে অবমূল্যায়ন করবেন না, প্লিজ। আপনারা ভালো থাকুন।
উল্লেখ্য, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে ৪ আগস্ট সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন টিপুর গুলিতে ৪ জন শিক্ষার্থী নিহত হন এবং খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া সহ বহু মানুষ আহত হন। ওই দিনের বুলেট এখনো তার শরীরের ভেতরে জীবন্ত সাক্ষী হয়ে আছে।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, মুক্তিকামী এই আহত মানুষটির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের অবিলম্বে এগিয়ে আসা জরুরি।