সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি অনুমোদনে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় ঢাকা-উত্তরবঙ্গের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-পাবনা ও ঢাকা-রংপুর সড়ক বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুর রউফ কালবেলাকে বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা হাটিকুমরুল গোলচত্বরের ধোপাকান্দি এলাকায় ঢাকামুখী ও উত্তরবঙ্গগামী লেন বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হৃদয় সরকার, জাকারিয়া, সমুদ্র, মেরাজ, হাসানসহ একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, আট বছর ধরে ভাড়া করা ভবনে নানা দুর্ভোগের মধ্যে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের। সাত দফায় ডিপিপি সংশোধন করে ৯ হাজার ২৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প প্রায় ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ ব্যয় কমিয়ে ৫৯৯ কোটি ৫০ লাখ টাকায় নামিয়ে আনার পরও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পটি একনেক সভার এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমরা বারবার আন্দোলন করার পরও শুধু আশ্বস্তই করা হয়েছে।
তারা আরও বলেছেন, আমরা ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলাম। এ সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ইতিবাচক সাড়া তো দূরের কথা কেউ যোগাযোগও করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা উত্তরাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মওলানা রফিকুল ইসলাম খান। শাহজাদপুরের সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে সাধারণ মানুষও এ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নিয়েছেন।
উত্তরাঞ্চলের সকল রুট ব্লকেড করে দেওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছে ঢাকামুখী হাজার হাজার যাত্রী। হাটিকুমরুল গোলচত্বরকে ঘিরে চারটি রুটে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে আছে। হাটিকুমরুল নির্মাণাধীন ইন্টারচেইঞ্চের দুটি বিকল্প সেতু দিয়ে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও মূল সড়কগুলো সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা হাটিকুমরুল গোলচত্বরের ধোপাকান্দি এলাকায় ঢাকামুখী ও উত্তরবঙ্গগামী লেন বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন। দুটি ওভারপাস দিয়ে কিছু গাড়ী চলাচল করছে।
এর আগে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। গত ২৬ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধসহ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসা শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো সমাধান না আসায় আজ তারা এই অবরোধ কর্মসূচিতে যান।