আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশের জন্য অন্তত ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা কেনার পরিকল্পনা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রোববার (১০ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের জন্য অন্তত ৪০ হাজার বডি-ওয়্যার ক্যামেরা সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে। শনিবার (৯ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের এক সভায় এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী এবং ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ বলেছেন, ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা- যা সাধারণত বডিক্যাম নামে পরিচিত, সংগ্রহ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই ডিভাইসগুলো হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করবে।
তিনি বলেছেন, আমরা অক্টোবরের মধ্যে বডিক্যামগুলো সংগ্রহ করতে চাই, যেন পুলিশ বাহিনী এসব বডিক্যামের এআই সক্ষমতাসহ মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর ওপর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পেতে পারেন।
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ক্যামেরা সরবরাহের জন্য জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পুলিশ অফিসার ও কনস্টেবলরা নির্বাচনের সময় এই ডিভাইসগুলো তাদের বুকে পরবেন। সভায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বডিক্যামগুলো দ্রুত ক্রয় এবং হাজার হাজার পুলিশ কর্মীর জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিতের নির্দেশ দেন।
ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ বলেন, খরচ যাই হোক না কেন, আমাদের অবশ্যই সব ভোটকেন্দ্রে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি নির্বাচনী অ্যাপ চালুর পরিকল্পনার কথাও জানান। অ্যাপটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ওপর বিশদ তথ্য প্রদান করবে। এর মধ্যে প্রার্থীর বিবরণ, ভোটকেন্দ্রের আপডেট এবং অভিযোগ জমা দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের অ্যাপটি দ্রুত চালু করার এবং দেশের ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের জন্য এটি ব্যবহার-বান্ধব কি না, তা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেন।