ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় ক্ষমতাসীন সরকারের ইচ্ছা পূরণ: রিজভী

আপিল বিভাগে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় ক্ষমতাসীন সরকারের ইচ্ছা পূরণ বলে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ন্যায়ভ্রষ্ট রায় প্রদানের মাধ্যমে তাদের সুবিচার থেকে বঞ্চিত করার দৃষ্টান্ত নতুন নয়। তাই দেশবাসী এই রায়ে বিস্মিত না হলেও সুবিচার লাভে শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগে যুক্ত ব্যক্তিগণের রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক বক্তব্যে হতাশ হয়ে পড়ছে। সোমবার বিকালে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ২০১৩ সালে হাইকোর্টে সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে বাতিল করার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যে আপিল করা হয়েছিল রোববার তা ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ করা হয়েছে। আপিলকারী দল রায়টিকে ‘ন্যায় ভ্রষ্ট’ বলে উল্লেখ করে তাদেরকে সুবিচার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করেছে। তিনি বলেন, যে রাজনৈতিক দলের বিস্তৃতি সারাদেশে দৃশ্যমান, জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের প্রায় সকল স্তরে প্রতিনিধিত্বশীল থাকার প্রমাণিত দৃষ্টান্তের অধিকারী- তবে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পাশাপাশি নাম গোত্রহীন অপরিচিত দলকে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ দেয়ার দৃষ্টান্ত সুবিচারের প্রমাণ বহন করে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন সরকারের বিরোধীতা করা যেকোনো রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার, এবং সেই অধিকারের সুরক্ষা বিচার বিভাগের কাছেই প্রাপ্য। এর ব্যতিক্রম গণতন্ত্র ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থি এবং অগ্রহণযোগ্য।

রিজভী বলেন, এই সরকার নির্বাচিত নয়। দেশে জনগণকে এরা ‘এলিমিনেট’ করেছে ভোটাধিকার থেকে। আবারও নির্বাচনের নামে ইয়ার্কি করা শুরু করেছে আওয়ামী ‘ডমেস্টিকেটেড’ নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর লোভ-লালসা তৃপ্তিহীন থাকছে, জনগণের ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা লুটের আকাঙ্ক্ষা থেকেই আবারও একতরফা নির্বাচনের বন্দোবস্ত চলছে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সরকারের পথরেখা অনুসারে চলবে তার প্রমাণ নিজেরাই দিচ্ছে। সরকারের সাজানো প্রশাসনের কোন রদবদল করবে না বলে জানিয়েছে, এটাই স্বাভাবিক। কারণ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারদের রক্ত পরীক্ষা করে কমিশনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সুতরাং এটিই হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একদলীয় বাকশালী নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের অর্থই হলো-নির্বাচনী আত্মহত্যা।

সংবাদ সম্মেলনে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের গ্রেপ্তার, মামলা, আসামি এবং আহতদের সংখ্যা তুলে ধরেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি জানান এসময়ে ৪৮০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আহত হয়েছে ৮০, মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৭টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৯৯০ জন নেতাকর্মীকে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় ক্ষমতাসীন সরকারের ইচ্ছা পূরণ: রিজভী

আপডেট সময় ০৯:২১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

আপিল বিভাগে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় ক্ষমতাসীন সরকারের ইচ্ছা পূরণ বলে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ন্যায়ভ্রষ্ট রায় প্রদানের মাধ্যমে তাদের সুবিচার থেকে বঞ্চিত করার দৃষ্টান্ত নতুন নয়। তাই দেশবাসী এই রায়ে বিস্মিত না হলেও সুবিচার লাভে শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগে যুক্ত ব্যক্তিগণের রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক বক্তব্যে হতাশ হয়ে পড়ছে। সোমবার বিকালে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ২০১৩ সালে হাইকোর্টে সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে বাতিল করার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যে আপিল করা হয়েছিল রোববার তা ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ করা হয়েছে। আপিলকারী দল রায়টিকে ‘ন্যায় ভ্রষ্ট’ বলে উল্লেখ করে তাদেরকে সুবিচার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করেছে। তিনি বলেন, যে রাজনৈতিক দলের বিস্তৃতি সারাদেশে দৃশ্যমান, জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের প্রায় সকল স্তরে প্রতিনিধিত্বশীল থাকার প্রমাণিত দৃষ্টান্তের অধিকারী- তবে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পাশাপাশি নাম গোত্রহীন অপরিচিত দলকে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ দেয়ার দৃষ্টান্ত সুবিচারের প্রমাণ বহন করে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন সরকারের বিরোধীতা করা যেকোনো রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার, এবং সেই অধিকারের সুরক্ষা বিচার বিভাগের কাছেই প্রাপ্য। এর ব্যতিক্রম গণতন্ত্র ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থি এবং অগ্রহণযোগ্য।

রিজভী বলেন, এই সরকার নির্বাচিত নয়। দেশে জনগণকে এরা ‘এলিমিনেট’ করেছে ভোটাধিকার থেকে। আবারও নির্বাচনের নামে ইয়ার্কি করা শুরু করেছে আওয়ামী ‘ডমেস্টিকেটেড’ নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর লোভ-লালসা তৃপ্তিহীন থাকছে, জনগণের ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা লুটের আকাঙ্ক্ষা থেকেই আবারও একতরফা নির্বাচনের বন্দোবস্ত চলছে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সরকারের পথরেখা অনুসারে চলবে তার প্রমাণ নিজেরাই দিচ্ছে। সরকারের সাজানো প্রশাসনের কোন রদবদল করবে না বলে জানিয়েছে, এটাই স্বাভাবিক। কারণ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারদের রক্ত পরীক্ষা করে কমিশনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সুতরাং এটিই হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একদলীয় বাকশালী নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের অর্থই হলো-নির্বাচনী আত্মহত্যা।

সংবাদ সম্মেলনে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের গ্রেপ্তার, মামলা, আসামি এবং আহতদের সংখ্যা তুলে ধরেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি জানান এসময়ে ৪৮০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আহত হয়েছে ৮০, মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৭টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৯৯০ জন নেতাকর্মীকে।