ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

গাজা দখলের পরিকল্পনার অভিযোগ নাকচ নেতানিয়াহুর

গাজা পুরোপুরি দখলের পরিকল্পনার অভিযোগ নাকচ করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য গাজা দখল করা নয়, বরং হামাসকে সরিয়ে শান্তিপূর্ণ সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি করা। এ ছাড়া জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎসের ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার (৮ আগস্ট) এক্সে দেওয়া পোস্টে নেতানিয়াহু বলেন, জার্মানি একদিকে ইসরায়েলের ‘হামাসবিরোধী ন্যায্য যুদ্ধের’ সমর্থন জানালেও অন্যদিকে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নিজেদের অবস্থানের সঙ্গে বিরোধ তৈরি করেছে। হামাসকে তিনি হলোকাস্টের পর ইহুদি জনগণের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করেন।

এর আগে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার গাজায় পূর্ণ সামরিক নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র সমালোচিত হয়। ফ্রান্স ও কানাডা সতর্ক করে বলেছে, এই পদক্ষেপ মানবিক সংকট আরও বাড়াবে এবং জিম্মিদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি করবে। জাতিসংঘও গাজাকে ফিলিস্তিনের অংশ হিসেবে পুনর্ব্যক্ত করেছে।

এদিকে ইরান এই পরিকল্পনাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া এবং জরুরি ওআইসি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছে।

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইসরায়েল যে পাঁচটি শর্ত দেবে, তার একটি তালিকা মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্য সমর্থন করেছেন। শর্তগুলো হলো—হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ, হামাসের হাতে থাকা ৫০ জিম্মিকে ফেরত আনা (যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে ধারণা), গাজা উপত্যকার নিরস্ত্রীকরণ, গাজায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ, হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নয়; বরং বিকল্প কোনো বেসামরিক সরকারের হাতে গাজার শাসন হস্তান্তর।

জনপ্রিয় সংবাদ

১৭ বছর আন্দোলন করেছি বাসস্ট্যান্ড দখলের জন্য নয়: ইশরাক

গাজা দখলের পরিকল্পনার অভিযোগ নাকচ নেতানিয়াহুর

আপডেট সময় ০৯:১৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

গাজা পুরোপুরি দখলের পরিকল্পনার অভিযোগ নাকচ করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য গাজা দখল করা নয়, বরং হামাসকে সরিয়ে শান্তিপূর্ণ সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি করা। এ ছাড়া জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎসের ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার (৮ আগস্ট) এক্সে দেওয়া পোস্টে নেতানিয়াহু বলেন, জার্মানি একদিকে ইসরায়েলের ‘হামাসবিরোধী ন্যায্য যুদ্ধের’ সমর্থন জানালেও অন্যদিকে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নিজেদের অবস্থানের সঙ্গে বিরোধ তৈরি করেছে। হামাসকে তিনি হলোকাস্টের পর ইহুদি জনগণের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করেন।

এর আগে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার গাজায় পূর্ণ সামরিক নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র সমালোচিত হয়। ফ্রান্স ও কানাডা সতর্ক করে বলেছে, এই পদক্ষেপ মানবিক সংকট আরও বাড়াবে এবং জিম্মিদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি করবে। জাতিসংঘও গাজাকে ফিলিস্তিনের অংশ হিসেবে পুনর্ব্যক্ত করেছে।

এদিকে ইরান এই পরিকল্পনাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া এবং জরুরি ওআইসি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছে।

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইসরায়েল যে পাঁচটি শর্ত দেবে, তার একটি তালিকা মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্য সমর্থন করেছেন। শর্তগুলো হলো—হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ, হামাসের হাতে থাকা ৫০ জিম্মিকে ফেরত আনা (যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে ধারণা), গাজা উপত্যকার নিরস্ত্রীকরণ, গাজায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ, হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নয়; বরং বিকল্প কোনো বেসামরিক সরকারের হাতে গাজার শাসন হস্তান্তর।