জামায়াত ইসলামী নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে অগ্নিসেনা সোশাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘দ্রুত বিচার সম্পন্ন, মৌলিক সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক দল ধরে নিয়েছে, নির্বাচনে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এছাড়া জামায়াতে ইসলামী আজব-আজব কথা বলে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে, এর কোনো কারণ নেই। তারা নতুন নতুন থিউরি দিচ্ছে। গণতন্ত্রে তারা মত প্রকাশ করতেই পারে কিন্তু এর জবাব জনগণ দেবে।
তিনি আরও বলেন, যে কোনো সংগ্রামের পর কৃতিত্ব দাবি করার লোকের অভাব হয় না। একটি রাজনৈতিক দল অনেকদিন আমাদের মিত্র ছিল কিন্তু নির্বাচনের আগে তাদের কিছু কথা শুনে আমরা অবাক হয়েছি। দলটি বলেছে, একাত্তরে জাতি নাকি পথভ্রষ্ট ছিল। একাত্তরে পুরো জাতি অংশ নিয়েছিল। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের ছিল না।
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নির্বাচনের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করেনি। গণতন্ত্রকে তারা ছুড়ে ফেলে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। শেখ হাসিনার আমলে প্রহসনমূলক নির্বাচন হয়েছে। এতে দেশবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। যে কারণে ফলে একদফা আন্দোলন হয়েছে।
বিএনপির সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেছেন, আমরা সংস্কার প্রস্তাবের বেশিরভাগে রাজি। দু-একটিতে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছি। একটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতি চায়। কিন্তু যে পদ্ধতি সহজ, যেটা সবাই বুঝতে পারে সেভাবেই নির্বাচন হতে হবে।
তিনি বলেছেন, জনগণ যাকে যোগ্য মনে করবেন, বিপদে আপদে নিজের আশ্রয় মনে করবেন তাকেই ভোট দেবেন। আমরা আশা করবো সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় প্রতিফলিত হবে। বর্তমান সরকারের কাছে আমরা আশা করেছিলাম পুলিশে সংস্কার হবে কিন্তু হয়নি। এই বাহিনী নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে পারবে কি না সন্দেহ রয়েছে।