পাড়ার অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলায় মেতে থাকত রুবেল মিয়াও। স্কুলে যেত, প্রতিবেশীদের সঙ্গে আনন্দে মেতে থাকতে সব সময়। তার উচ্ছলতায় ভরে থাকত পুরো বাড়ি। সেই প্রাণবন্ত ছোটাছুটি বন্দি হয়ে গেছে চার দেয়ালে।চোখের জলে ভেসে গেছে মুখের হাসিটুকু।
প্রায় ২ বছর ধরে ঘুরছে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে।টিউমার থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ছটফট করছে ১৪ বছরের ফুটফুটে কিশোর রুবেল মিয়া। শরীরের ব্যথা-যন্ত্রণায় সারাক্ষণ শুধু কাঁদতে থাকে। মাঝেমধ্যে বিছানায় ছটফট করে বলে, বাবা, আমি কি আর স্কুলে যেত পারব না? বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করতে পারবো না? আমি কি মরে যাব? ডাক্তার যে বলছে, চিকিৎসা চালিয়ে যেতে না পারলে বাঁচানো যাবে না! আমি তোমাদের কোলেই থাকতে চাই। আর দুষ্টুমি করব না, তোমরা আমাকে বাঁচাও!
স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে কোনো মতে চলে যাচ্ছিল দিনমজুর রফিকুল ইসলামের সংসার। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তরসাহাবাজ মাস্টারপাড়া গ্ৰামের বাসিন্দা।
বড় সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়লে চোখেমুখে দেখেন অন্ধকার। পাড়াপ্রতিবেশী এগিয়ে আসে, চাঁদা তুলে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তাতে কিছুদিন চিকিৎসা চলে। কিন্তু দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় নিজের যা ছিল তা শেষ করেও বহু টাকা ঋণ করে ফেলেছেন দিনমজুর পিতা রফিকুল। এখন অর্থাভাবে চিকিৎসা থমকে আছে।
নিরুপায় হয়ে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তা কামনা করেছেন দিনমজুর বাবা রফিকুল ইসলাম।
বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্ত কিশোর রুবেল মিয়া সিরাজগঞ্জ খাজা ইউনুস আলী ক্যান্সার মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি রয়েছে।
রুবেলের খোঁজখবর নেওয়া যাবে- ০১৯১৪-৫০৩১৬০ ও ০১৭৮৩-৬৬৭৮০২ নম্বরে।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : চলতি হিসাব নম্বর-০১০০২৬৭৫২৪২৮৩, জনতা ব্যাংক লিমিটেড শাখা; বিকাশ /নগদ নম্বর- ০১৯১৪-৫০৩১৬০ পার্সোনাল।