নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ধর্মীয় উচ্চ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নোয়াখালী কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসায় ছাত্রাবাস প্রতিষ্ঠা সহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই) বাদ যোহর মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষার্থীরা উক্ত মানববন্ধন করেন এবং মানববন্ধন শেষে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে তারা লিখেন,
নোয়াখালী কারামাতিয়া কামিল মাদ্রাসা নোয়াখালীর একটি স্বনামধন্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু শিক্ষার্থী দ্বীনি ও আধুনিক জ্ঞানে নিজেদের সমৃদ্ধ করার জন্য ভর্তি হয়ে থাকে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, এই প্রতিষ্ঠানে এখনো পর্যন্ত কোনো আবাসিক ছাত্রাবাসের ব্যবস্থা নেই। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আগত ছাত্রদের ভাড়া বাসায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে কষ্টকর অবস্থায় থাকতে হচ্ছে, যা তাদের লেখাপড়ায় মনোযোগ ও মানসিক স্থিতিতে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
একটি কামিল মাদ্রাসার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে সুসংগঠিত ছাত্রাবাস ব্যবস্থা। এটি কেবল আবাসনের সুবিধা দেয় না, বরং শিক্ষার্থীদের জীবনব্যবস্থা, ধর্মীয় চর্চা, অধ্যয়ন ও শৃঙ্খলিত পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করে দেয়।
আমরা মনে করি, এই প্রতিষ্ঠানে একটি পূর্ণাঙ্গ ছাত্রাবাস নির্মাণ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। তাই, আমরা আপনার মাধ্যমে মাদ্রাসা প্রশাসনের নিকট নিম্নোক্ত দাবিসমূহ পেশ করছি: ১. নিকট ভবিষ্যতে একটি আবাসিক ছাত্রাবাস নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ। ২. ছাত্রাবাস প্রকল্পকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষা বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রস্তাব আকারে পাঠানো। ৩. জরুরি ভিত্তিতে ভাড়া করা ভবনে অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ। ৪. মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়জনীয় ব্যবস্থা / উদ্যোগ গ্রহন করা। ৫. সরকারি উপবৃত্তি যাচাইবাছাই করে গরিব শিক্ষার্থীদের দেওয়ার ব্যবস্থা করা। ৬. মাদ্রাসার ভবনগুলোর ওয়াশরুমের মেরামত করে / পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ব্যবহার উপযোগী করা। ৭. মাদ্রাসার মাসিক বেতন ও সেশন ফিস কমানো। ৮. ছাত্রীদের সালাতের জন্য স্থান এবং কার্পেট এর ব্যবস্থা করা। ৯. মাদ্রাসায় মানসম্মত ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা। ১০. অভিবাবক দের জন্য অভিবাবক ছাওনির ব্যবস্থা করা।১১. আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট কোন ব্যক্তিকে মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের কোন পদে পদায়ণ করা যাবে না। ১২. মাদ্রাসায় সাপ্তাহিক জলসা( সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান) আয়োজন করা।
উক্ত দাবিদাওয়া প্রদান করে স্মারকলিপিতে পরিশেষে তারা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রশাসন আমাদের যৌক্তিক দাবির বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং ছাত্রসমাজের শিক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।