নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াকে একটি কল্যাণমূলক, সমৃদ্ধ এবং উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পরামর্শ সভার সদস্য, শাহবাগ পশ্চিম থানার আমীর, নোয়াখালী-৬ হাতিয়া আসন থেকে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহ মাহফুজুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদেরকে ওয়াদা দিচ্ছি—হাতিয়াতে ফেরি চালু হবেই। এ লক্ষ্যে যা কিছু করা দরকার, আমরা তাই করবো। প্রয়োজনে নৌ-মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ ঘেরাও করবো, তবুও হাতিয়ার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে ফেরি চালুর উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, হাতিয়ার নদীভাঙন রোধে আমরা টেকসই বেডিবাঁধ নির্মাণ করবো। ব্লক দেওয়ার জন্য যে বাজেট প্রয়োজন, তা আনার চেষ্টা করবো। আমাদের রয়েছে মানবাধিকার সংস্থায় কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করবো হাতিয়ার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। হাতিয়াকে একটি শান্তিপূর্ণ, সন্ত্রাস ও জলদস্যু মুক্ত জনপদ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। কোনো সিন্ডিকেট, কোনো অনিয়ম আমরা বরদাশত করবো না। কৃষক ও জেলেরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে, আমরা সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করবো।
গতকাল বুধবার বিকেলে হাতিয়ার হরণী ও চানন্দী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত গণমিছিল পরবর্তী এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ১০ নম্বর জাহাজমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট নোমান সিদ্দিক, হরণী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাফেজ মাওলানা তারিফুল মাওলা এবং চানন্দী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিশিষ্ট সমাজসেবক মাওলানা সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক, হাতিয়ার কৃতী সন্তান এজিএম বাপ্পি।
গণমিছিলটি শুরু হয় হাতিয়া বাজার জামে মসজিদ থেকে। বাজারের দক্ষিণে টাংকির রাস্তার মাথা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জামে মসজিদের সামনে এসে শেষ হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে।