দ্বীনি ইলম অর্জনের পাশাপাশি আদব ও আখলাক শেখা অত্যন্ত জরুরি। বিনয়ী ও হীনমন্যতামুক্ত ছাত্রই ভবিষ্যতে দ্বীনি ইলমের ধারক-বাহক হতে পারে। তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গীর অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ হিফজুর রহমান আজ এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
আজ সকাল ৭টায় মাদ্রাসার ৩০০১ নম্বর কক্ষে কামিল প্রথম বর্ষ (২০২৩-২৪) ও অনার্স প্রথম বর্ষ (২০২৪-২৫) শিক্ষাবর্ষের সবক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ ড. হিফজুর রহমান এবং পরিচালনা করেন সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সালমান।
সবক প্রদানকালে অধ্যক্ষ বলেন, “আমরা চাই শিক্ষার্থীরা শুধু জ্ঞানী হোক তা নয়, বরং আদর্শবান ও বিনয়ী হোক। ইলম ও আখলাকের সমন্বয়ই একজনকে পূর্ণাঙ্গ মানুষে পরিণত করে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে হবে।” তিনি শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে হাদিস বিভাগের ড. মোজ্জাম্মেল হোসাইন আল-আজহারী বলেন, “ইলম অর্জন শুধু পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য নয়, বরং তা সমাজ ও জাতির কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।” ইংরেজি বিভাগের প্রধান মাওলানা নুরুল হক শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্বায়নের যুগে দ্বীনি জ্ঞান ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে এগিয়ে যাওয়ার তাগিদ দেন।
ফিকাহ বিভাগের মাওলানা আমিনুল হক মীর ও মাওলানা ইব্রাহিম খলিল, তাফসির বিভাগের মাওলানা ওসমান গনি ও মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ, এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের জনাব আবুল হাসান মো. ইব্রাহিমসহ অনার্স ও কামিল শ্রেণিতে পাঠদানকারী অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে ইসলামী আন্দোলনের জন্য যে আলেম সংকট বিরাজ করছে, তা পূরণে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাঁরা শিক্ষার্থীদের দ্বীনি জ্ঞান অর্জনে মনোযোগী হয়ে সমাজ পরিবর্তনের অগ্রদূত হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে নতুন শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে এবং মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত হয়ে ওঠে।