পঞ্চগড়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জাবেদ উমর জয় নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের সিনেমা হল মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাবেদ উমর জয় জেলা শহরের পুরাতন ক্যাম্প এলাকার জহিরুল হকের ছেলে। তিনি পঞ্চগড় পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন।
ছাত্রদল কর্মী নিহতের ঘটনায় শহরে উত্তেজনা দেখা দেয়। দোকানপাট বন্ধ করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরের পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে বিক্ষোভ করে তার প্রতিবেশী, সহপাঠী ও বন্ধুরা। অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত মরদেহ থানায় নিতে আপত্তি করেন বিক্ষুব্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাসদস্যসহ অতিরিক্ত পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে মধ্যরাত পর্যন্ত শহরে থমথমে অবস্থা ছিল।
স্থানীয়রা জানায়, পূর্বশত্রুতার জেরে জাবেদ উমর জয়কে ছুরিকাঘাত করা হয়। সেখানে তার প্রতিপক্ষ জেলা শহরের নতুন বস্তি এলাকার আল আমিন, পারভেজসহ কয়েকজন ছিল। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় জয়কে উদ্ধার করে প্রথমে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। গভীর রাত পর্যন্ত তার মরদেহ বাসাতেই ছিল। ছুরিকাঘাতে জয়ের পেটের বা পাশ দিয়ে ভুঁড়ি বের হয়ে যায়।
নিহতের বড় ভাই আশরাফ বলেন, রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে তিনজন জয়কে খুঁজছিল। আমিও তাকে না পেয়ে দোকানে চলে যাই। এরপর একটা ফোন পেয়ে জানতে পারি জয়কে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তার ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। শুনে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রংপুরে নেওয়ার পথেই সে মারা যায়। প্রকাশ্যে এ হত্যার উপযুক্ত বিচার চাই।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রেজওয়ানুল্লাহ জানায়, জয় নামে এক যুবকের পেটের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাতের ফলে ভুঁড়ি বের হয়ে গিয়েছিল। তার একটি হাতেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার অবস্থা গুরুতর ছিল। আমরা জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা শেষে রংপুরে পাঠানোর পরামর্শ দিই।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শইমী ইমতিয়াজ বলেছেন, পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের আঘাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আল আমিন ও পারভেজসহ কয়েকজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মরদেহ ভিকটিমের বাসাতেই রয়েছে। দ্রুত সময়ে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য আনা হবে।