জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে “জেএনইউডিএস ১৭তম আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫” এবং “জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫”। ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ঢাকা জেলা পরিষদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপ্ত ঘোষণা হয়।
মঙ্গলবার (৫ই আগস্ট) সকালে রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে শুরুতেই আন্তঃবিভাগ ফাইনাল বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়, এরপর পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় বিতর্ক উৎসবের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ফাইনাল রাউন্ড। জবি ক্যাম্পাস জুড়ে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ উৎসবের শেষ দিনে অংশ নেয় দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকেরা।
আন্তস্কুল ফাইনালে বিরোধী দল হিসেবে বিতর্ক করে চ্যাম্পিয়ন হয় নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ এবং রানারআপ হয় মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। আন্তঃস্কুল-কলেজ পর্যায়ে বিরোধী দল হিসেবে বিতর্ক করে চ্যাম্পিয়ন হয় যশোর জিলা স্কুল এবং রানার্স আপ হয় মতিঝিল গভমেন্ট বয়েজ হাই স্কুল। আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও বিরোধী দল হিসেবে বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন হয় জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন এবং রানারআপ হয় ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি।
বিকেলে সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বরা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জবির ভিসি অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, পিএইচডি, বলেন, “বিতর্ক একটি শিল্প—যা যুক্তির সৌন্দর্যে বিকশিত হয় এবং চিন্তার গভীরতায় বিস্ময় জাগায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সর্বোত্তম উপায় হলো তাঁদের আদর্শ ও প্রত্যাশাকে ধারণ করা। আমরা যদি তাঁদের স্বপ্ন ও প্রত্যাশার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ পথে অগ্রসর হই, তবেই তাঁদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে এবং তাঁদের আত্মা শান্তি লাভ করবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব তানভীর আহমেদ, এবং প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেএনইউডিএস এর মডারেটর ড. মুহাম্মদ নূরুল্লাহ।
এছাড়া আরও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জবি কোষাধ্যক্ষ ড. সাবিনা শরমীন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিনার জনাব মো. আজমল হোসেন, জবি শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারী ড. রইস উদ্দিন, ও উপ-সচিব এবং ঢাকা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো. মামুন খন্দকার।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মাঈন আল মুবাশ্বির।
জুলাই স্মরণে আহত ও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদানের পর, অতিথিদের বক্তব্যে শেষে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক আয়োজনে দ্রোহের গান ও কাওয়ালি সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এতে জনপ্রিয় কাওয়ালী পরিবেশক নাদিম কাওয়াল এবং ‘কাসিদা’ ব্যান্ড সংগীত পরিবেশনা করে।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজ থেকে আগত বিতার্কিকগণসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।