ঢাকা ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির Logo সিভাসুতে বিচারহীনতার প্রতিবাদে মুখে লাল কাপড় পেঁচিয়ে অবস্থান কর্মসূচি Logo ‘প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেছে’ Logo ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালি: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নতুন প্রত্যয় Logo ফতহে গণভবনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের র‍্যালি অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিকদের বিএনপির নয়, দেশ ও জনগণের হতে হবে: আমীর খসরু Logo এদেশের মানুষ চাঁদাবাজদের সাথে আর জোট দেখতে চায় না-অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল Logo আগামীর শাসকদের হাসিনার পরিণতি মনে রাখতে হবে: আসিফ মাহমুদ Logo ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে সিইসিকে চিঠি দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo বিএনপির আয়োজনে ৫ আগস্ট বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে

শহীদের জন্য মোনাজাত: জামায়াত আমিরকে বিএনপি নেতার বাধা

ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর কাশিমপুর গ্রামে গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহীদ ওয়াকিল আহমেদ শিহাবের কবরে দোয়া-মোনাজাতকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। তবে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শহীদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় মসজিদের ইমামের মাধ্যমে দোয়া পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়।

তবে আকস্মিকভাবে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান সেখানে উপস্থিত হলে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির জাহাঙ্গীর আলম তাকে দোয়া পরিচালনার আহ্বান জানান।

এতে আপত্তি জানান স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবারের নির্বাচিত মেম্বার নূর নবী মেম্বার। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

বিএনপি নেতা নূর নবী মেম্বার বলেন, ‘শহীদ শিহাব আমার আত্মীয় এবং আমি প্রশাসনের অনুরোধে দোয়া পরিচালনার ব্যবস্থা করেছিলাম।

পূর্বনির্ধারিত ইমামকে বাদ দিয়ে হঠাৎ জেলা জামায়াতের আমিরকে দিয়ে দোয়া করানো হলে আমি প্রতিবাদ জানিয়েছি। যদিও আমি জেলা আমিরকে সম্মান করি, তবে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির জাহাঙ্গীর আলম রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এমন কাজ করেছেন।’

এ প্রসঙ্গে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান বলেছেন, ‘সেখানে তেমন কিছু হয়নি। আমি শুধু দোয়া মোনাজাত করেছি। বিএনপির একজন নেতা একটু বাড়াবাড়ি করছিলেন, আমি থামিয়ে দিয়েছি। পরে বিষয়টি আমি সবাইকে বুঝিয়ে বলেছি।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির

শহীদের জন্য মোনাজাত: জামায়াত আমিরকে বিএনপি নেতার বাধা

আপডেট সময় ০৬:১৯:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর কাশিমপুর গ্রামে গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহীদ ওয়াকিল আহমেদ শিহাবের কবরে দোয়া-মোনাজাতকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। তবে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শহীদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় মসজিদের ইমামের মাধ্যমে দোয়া পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়।

তবে আকস্মিকভাবে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান সেখানে উপস্থিত হলে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির জাহাঙ্গীর আলম তাকে দোয়া পরিচালনার আহ্বান জানান।

এতে আপত্তি জানান স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবারের নির্বাচিত মেম্বার নূর নবী মেম্বার। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

বিএনপি নেতা নূর নবী মেম্বার বলেন, ‘শহীদ শিহাব আমার আত্মীয় এবং আমি প্রশাসনের অনুরোধে দোয়া পরিচালনার ব্যবস্থা করেছিলাম।

পূর্বনির্ধারিত ইমামকে বাদ দিয়ে হঠাৎ জেলা জামায়াতের আমিরকে দিয়ে দোয়া করানো হলে আমি প্রতিবাদ জানিয়েছি। যদিও আমি জেলা আমিরকে সম্মান করি, তবে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির জাহাঙ্গীর আলম রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এমন কাজ করেছেন।’

এ প্রসঙ্গে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান বলেছেন, ‘সেখানে তেমন কিছু হয়নি। আমি শুধু দোয়া মোনাজাত করেছি। বিএনপির একজন নেতা একটু বাড়াবাড়ি করছিলেন, আমি থামিয়ে দিয়েছি। পরে বিষয়টি আমি সবাইকে বুঝিয়ে বলেছি।’