ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর কাশিমপুর গ্রামে গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহীদ ওয়াকিল আহমেদ শিহাবের কবরে দোয়া-মোনাজাতকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। তবে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শহীদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় মসজিদের ইমামের মাধ্যমে দোয়া পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়।
তবে আকস্মিকভাবে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান সেখানে উপস্থিত হলে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির জাহাঙ্গীর আলম তাকে দোয়া পরিচালনার আহ্বান জানান।
এতে আপত্তি জানান স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবারের নির্বাচিত মেম্বার নূর নবী মেম্বার। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
বিএনপি নেতা নূর নবী মেম্বার বলেন, ‘শহীদ শিহাব আমার আত্মীয় এবং আমি প্রশাসনের অনুরোধে দোয়া পরিচালনার ব্যবস্থা করেছিলাম।
পূর্বনির্ধারিত ইমামকে বাদ দিয়ে হঠাৎ জেলা জামায়াতের আমিরকে দিয়ে দোয়া করানো হলে আমি প্রতিবাদ জানিয়েছি। যদিও আমি জেলা আমিরকে সম্মান করি, তবে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির জাহাঙ্গীর আলম রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এমন কাজ করেছেন।’
এ প্রসঙ্গে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান বলেছেন, ‘সেখানে তেমন কিছু হয়নি। আমি শুধু দোয়া মোনাজাত করেছি। বিএনপির একজন নেতা একটু বাড়াবাড়ি করছিলেন, আমি থামিয়ে দিয়েছি। পরে বিষয়টি আমি সবাইকে বুঝিয়ে বলেছি।’