নতুন সংবিধান হলেই দেশে পরিবর্তন আসবে, এমন তত্ত্ব মানতে নারাজ আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ট্যাগের রাজনীতি, মিথ্যাচার, দুর্নীতি দূর করতে নতুন সংবিধান লাগে না। এজন্য রাষ্ট্রের সংস্কার নয়, প্রয়োজন নিজেদের গুণগত পরিবর্তন ও দেশপ্রেম।
জুলাই অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এতে গত সরকারের নির্যাতন–অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরেন আসিফ নজরুল। শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রনীতি, নির্বাচনে কারচুপি, ভোটাধিকার হরণ ও গুম নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আপনি বলেন, পৃথিবীতে কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলে স্বামী–স্ত্রী সম্পর্ক। কাকে স্বামী বুঝিয়েছিল, বাংলাদেশকে? চিন্তা করে দেখেন। শেখ হাসিনা বলত, আমি এত কিছু দিয়েছি যে ভারত ভুলতে পারবে না। অ্যাজ ইফ তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি দিয়েছে।’
আইন উপদেষ্টা মন্তব্য করেন, মৃত্যুকে উপেক্ষা করে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে অংশ নেয় জনগণ। ভারত, মালদ্বীপ, তিউনিশিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এই দেশগুলোতে সুন্দর সংবিধান থাকলেও মানবাধিকার নেই।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেকে মনে করে, আমাদের একটি র্যাডিকাল রিফর্ম দরকার। আমাদের সংবিধানেই মনে হয় সমস্ত সমস্যা। আমি এর সাথে দ্বিমত পোষণ করি। শেখ হাসিনা অনেক খারাপ শাসক ছিল, এখন খুব ভালো সংবিধান হবে আর আমরা খুব ভালো হয়ে যাব—এতটা সোজা? যারা ভালো হওয়ার কথা বলি, তারা নিজেরা ভালো হয়েছি?
আসিফ নজরুল আরও জানান, সংবিধান নয়, দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে জনগণের গুণগত মানের ওপর। আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সত্যি কথা বলার জন্য কি সংবিধান লাগে? পরমতসহিষ্ণু হতে কি সংবিধান লাগে? একা একা সবকিছুর মালিকানা দাবি করে বাকিদের বঞ্চিত না করি—এটার জন্য সংবিধান লাগে? এটার জন্য সুশিক্ষা লাগে। ভালো মানুষ হতে হয়।