ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শোকজের জবাবে যা লিখলেন ফজলুর রহমান Logo পরীক্ষার সময় ছাত্রদলের উচ্চস্বরে স্লোগান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নিন্দা Logo ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের পোস্টার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ Logo তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র আর্টিকেল ৫.৩ ব্যত্যয় না করার আহবান Logo শপথ নিয়েছেন হাইকোর্টের নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতি Logo বিমানবন্দরে বিদেশি নারীর লাগেজ থেকে ১৩০ কোটি টাকার মাদক জব্দ Logo ডাকসু নির্বাচনে মোতায়েন করা হবে সেনাবাহিনী Logo জুলাই গণহত্যা:আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৯ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ Logo তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রিভিউ শুনানি চলছে Logo কমেতে শুরু করেছে কাঁচামরিচের দাম

অতিরিক্ত ফি দাবি করায় বিমানবন্দরে তুলকালাম

অতিরিক্ত কেবিন ব্যাগেজ নিয়ে বিতর্কের জেরে এক সিনিয়র সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্পাইসজেটের চার কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার বিমান সংস্থা স্পাইসজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো এই হামলায় তাদের কর্মীদের মেরুদণ্ডে ফাটল ও চোয়ালে গুরুতর আঘাত লেগেছে।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তার নাম লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিতেশ কুমার সিং। এই হামলার ঘটনার পর ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

স্পাইসজেটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৬ জুলাই শ্রীনগর বিমানবন্দরে দিল্লিগামী একটি ফ্লাইটের চেক-ইন চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিতেশের দুটি কেবিন ব্যাগের মোট ওজন ছিল ১৬ কেজি, যা বিমান সংস্থার অনুমোদিত ৭ কেজির দ্বিগুণের বেশি।

যখন গ্রাউন্ড স্টাফরা তাঁকে অতিরিক্ত ব্যাগেজের কথা জানান এবং প্রযোজ্য ফি পরিশোধ করতে বলেন, তখন তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিতেশ সহিংস হয়ে ওঠেন। ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই কর্মকর্তা একটি স্টিলের সাইনবোর্ডের স্ট্যান্ড দিয়ে কর্মীদের ওপর হামলা করছেন।

স্পাইসজেট আরও জানায়, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা ফি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ‘বোর্ডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করেই জোরপূর্বক অ্যারোব্রিজে প্রবেশ করেন’। এটি বিমান চলাচল নিরাপত্তা প্রটোকলের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) একজন কর্মকর্তা যাত্রীকে গেটে ফিরিয়ে আনলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। সেনা কর্মকর্তা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং স্পাইসজেটের চারজন গ্রাউন্ড স্টাফকে মারধর করেন।

স্পাইসজেট তাদের বিবৃতিতে জানায়, ‘এই হামলার ঘটনায় আমাদের কর্মীরা গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। একজন স্পাইসজেট কর্মচারী অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে যান, কিন্তু ওই যাত্রী তখনো তাঁকে লাথি মারতে থাকেন। আরও একজন কর্মী অজ্ঞান হয়ে পড়া সহকর্মীকে সাহায্য করতে গেলে তাঁর চোয়ালে লাথি মারেন ওই সেনা কর্মকর্তা। তাঁর নাক ও মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।’

এ ঘটনা প্রসঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বিষয়টি আমলে নিয়েছে এবং তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে। সেনা সূত্র আরও জানায়, সেনাবাহিনী সব স্তরে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ঢাকাভয়েস/২৪

জনপ্রিয় সংবাদ

শোকজের জবাবে যা লিখলেন ফজলুর রহমান

অতিরিক্ত ফি দাবি করায় বিমানবন্দরে তুলকালাম

আপডেট সময় ১২:৪৬:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

অতিরিক্ত কেবিন ব্যাগেজ নিয়ে বিতর্কের জেরে এক সিনিয়র সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্পাইসজেটের চার কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার বিমান সংস্থা স্পাইসজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো এই হামলায় তাদের কর্মীদের মেরুদণ্ডে ফাটল ও চোয়ালে গুরুতর আঘাত লেগেছে।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তার নাম লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিতেশ কুমার সিং। এই হামলার ঘটনার পর ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

স্পাইসজেটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৬ জুলাই শ্রীনগর বিমানবন্দরে দিল্লিগামী একটি ফ্লাইটের চেক-ইন চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিতেশের দুটি কেবিন ব্যাগের মোট ওজন ছিল ১৬ কেজি, যা বিমান সংস্থার অনুমোদিত ৭ কেজির দ্বিগুণের বেশি।

যখন গ্রাউন্ড স্টাফরা তাঁকে অতিরিক্ত ব্যাগেজের কথা জানান এবং প্রযোজ্য ফি পরিশোধ করতে বলেন, তখন তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিতেশ সহিংস হয়ে ওঠেন। ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই কর্মকর্তা একটি স্টিলের সাইনবোর্ডের স্ট্যান্ড দিয়ে কর্মীদের ওপর হামলা করছেন।

স্পাইসজেট আরও জানায়, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা ফি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ‘বোর্ডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করেই জোরপূর্বক অ্যারোব্রিজে প্রবেশ করেন’। এটি বিমান চলাচল নিরাপত্তা প্রটোকলের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) একজন কর্মকর্তা যাত্রীকে গেটে ফিরিয়ে আনলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। সেনা কর্মকর্তা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং স্পাইসজেটের চারজন গ্রাউন্ড স্টাফকে মারধর করেন।

স্পাইসজেট তাদের বিবৃতিতে জানায়, ‘এই হামলার ঘটনায় আমাদের কর্মীরা গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। একজন স্পাইসজেট কর্মচারী অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে যান, কিন্তু ওই যাত্রী তখনো তাঁকে লাথি মারতে থাকেন। আরও একজন কর্মী অজ্ঞান হয়ে পড়া সহকর্মীকে সাহায্য করতে গেলে তাঁর চোয়ালে লাথি মারেন ওই সেনা কর্মকর্তা। তাঁর নাক ও মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।’

এ ঘটনা প্রসঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বিষয়টি আমলে নিয়েছে এবং তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে। সেনা সূত্র আরও জানায়, সেনাবাহিনী সব স্তরে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ঢাকাভয়েস/২৪